বাড়িতে ঢুকে পড়া গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। সেই প্রাণীটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দিতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু ছুটির দিনে উদ্ধারকাজের ভার কে নেবে তা নিয়ে ঠেলাঠেলি পড়েছিল বন দফতরে। শেষমেশ নিজেই গাড়ি ভাড়া করে প্রাণীটিকে জঙ্গলে ছেড়ে এসেছিলেন।
বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও চোরাশিকারের খবর দিতে গিয়ে নাকাল হওয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে। কারণ কোন এলাকা কোন বিভাগের আওতায় পড়ে তা আমজনতা জানেন না। এই সমস্যা মাথায় রেখেই এ বার বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার ‘টোল ফ্রি’ নম্বর চালু করতে চলেছে বন দফতর। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) প্রদীপ ব্যাস বলেন, ‘‘সরকারি ছাড়পত্র মিলেছে। বিএসএনএলের কাছে টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই নম্বর চালু করা হবে।’’
বনকর্তারা বলছেন, এই নম্বরটিতে ফোন করে রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কোনও সময় খবর দেওয়া যাবে। ফোনে ঠিকানা জেনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে মানুষ অনেক বেশি বন দফতরের কাজে সাহায্য করবেন বলে আশা অফিসারদের।
বন্যপ্রাণী নিয়ে বহু মানুষই সচেতন। ফেসবুকে নিয়মিত চোরাশিকার, পাচারের ছবিও তুলে ধরেন তাঁরা। এ দিন সেই প্রসঙ্গেই রবিবার ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করেছেন প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ)। নেট-নাগরিকদের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘ফেসবুকে ছবি দিন, ক্ষতি নেই। কিন্তু আগে অপরাধ রুখতে বন দফতরকে জানান।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বরগুলিও (২৩৩৪-০২৩৪, ৯০৭৩২৩৭৯১৮, ৯০৭৩২৩৭৯১৮) দিয়েছেন তিনি। প্রদীপবাবুর ব্যাখ্যা, অনেকেই ঘটনার দিন পনেরো পরে ফেসবুকে ছবি দেন। তখন সেই ছবি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও উপায় থাকে না। ফলে এই কাজের যে মূল উদ্দেশ্য তা সফল হয় না। তার বদলে নাগরিকেরা যদি ফোন করে জানান তা হলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy