প্রস্তুতি: অমিত শাহের সভা উপলক্ষে তোড়জোড়। শুক্রবার, মেয়ো রোডে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
একই সপ্তাহে আবারও যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা মহানগরীতে!
গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সংগঠনের মিছিলের জেরে যানজটে ভুগেছে ধর্মতলা চত্বর। আজ, শনিবার দুপুর ১২টায় মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সমাবেশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সভায় যোগ দিতে শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকেরা জড়ো হবেন ধর্মতলা চত্বরে। তার ফলে শহরের প্রাণকেন্দ্রে চরম যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সভায় যোগ দিতে এ দিন সকালে শহরের চার প্রান্ত থেকে চারটি বড় মিছিল আসবে শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সঙ্গে বন্ধ থাকবে মেয়ো রোড। পুলিশ জানিয়েছে, মূল মিছিলটি আসবে বিজেপি-র রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে। আরও তিনটি মিছিল আসবে হাজরা মোড়, হাওড়া স্টেশন এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে। এ ছাড়াও উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতা থেকে ছোট ছোট একাধিক মিছিল আসবে। এ দিনই দুপুর দুটো নাগাদ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভা করবেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। যার জেরে আরও বাড়তে পারে যানজট।
বস্তুত, রাস্তা জুড়ে মঞ্চ তৈরির জন্য শুক্রবার বিকেল থেকেই মেয়ো রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক কর্তারা জানান, এ দিনও মেয়ো রোড বন্ধ থাকায় উট্রাম রোড দিয়ে উভয়মুখী গাড়ি চালানো হবে।
পুলিশের আশঙ্কা, সবচেয়ে বেশি চাপ পড়বে ধর্মতলা এবং লাগোয়া চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোড ও ডাফরিন রোডের উপরে। সূত্রের দাবি, রাজ্য দফতরের মূল মিছিলে সব থেকে বেশি ভিড় করবেন বিজেপি সমর্থকেরা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে সেই মিছিল যাওয়ার ফলে দীর্ঘক্ষণ যানজটে ভুগতে পারে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ ছাড়া, হাওড়া এবং শিয়ালদহের মিছিলের জন্য এস এন ব্যানার্জি রোড, এ জে সি বসু রোড, হাওড়া ব্রিজ-সহ বিভিন্ন রাস্তায় কার্যত একটি সময়ে যান চলাচল থমকে যেতে পারে। পুলিশের দাবি, রাস্তা আটকে গেলেও অন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় আজ অমিত শাহ, রাজ্য জুড়ে পথে তৃণমূল
যানজট নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। লালবাজারের একটি সূত্রের বক্তব্য, যে কোনও সমাবেশের দিনেই জেলা থেকে আসা বাস, গাড়ি রাস্তার উপরে দাঁড় করানো হয়। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে মাঠে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সফল হয়েছে পুলিশ। বিজেপি-র মিছিলে আসা কোনও গাড়ি যাতে রাস্তায় না রাখা হয়, তা দেখতে ভোর থেকে নামবেন পুলিশকর্তারা। তবে লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিনের সভায় নজরদারি চালাতে ড্রোনের বদলে সিসিটিভি ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে ওই সভার জন্য এগারো জন ডিসি-র নেতৃত্বে প্রায় পাঁচশোর বেশি পুলিশকর্মীকে মোতায়ন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy