বালির পরে এ বার হাওড়া। একটি মোটরবাইক দুর্ঘটনার পরে ওই বাইকের তিন আরোহীকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক ট্রাফিক পুলিশকর্মী। অভিযোগ, ওই তিন যুবক-সহ আশপাশ থেকে আসা আরও ১০-১২ জন যুবক মিলে ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করে, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ারও চেষ্টা করে। আরও অভিযোগ, ঘটনার পরে আহত অপর মোটরবাইক আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও ওই যুবকেরা চড়াও হয়।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিলখানার দিক থেকে একটি নম্বরপ্লেটহীন মোটরবাইকে হেলমেট না পরা তিন যুবক বাঙালবাবু ব্রিজে ওঠার সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা এক বাইক আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত হন সুরজিৎ মণ্ডল নামে ওই মোটরবাইক চালক। অল্প চোট লাগে তিন যুবকেরও। স্থানীয় সূত্রে খবর, তখন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন অসিতবরণ মণ্ডল নামে এক ট্রাফিক পুলিশকর্মী। অভিযোগ, তিনি ওই তিন যুবককে ধরতে গেলে তারা তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে। আরও অভিযোগ, ওই যুবকদের পুলিশ আটক করেছে দেখে আশপাশ থেকে আরও ১০-১২ জন যুবক ছুটে এসে অসিতবরণবাবুকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ শুরু করে। এর মধ্যেই ওই যুবকেরা বাইক স্টার্ট করে অসিতবরণবাবুকে কার্যত ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অসিতবরণবাবু বলেন, ‘‘ওরা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করেছে, গালিগালাজ করেছে। পালানোর সময়ে মোটরবাইক দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টাও করেছে।’’ ঘটনার পরে আহত বাইক আরোহীকে কয়েক জন সিভিক পুলিশকর্মী হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও ওই যুবকেরা দলবল নিয়ে হাজির হয়। অভিযোগ, তারা সুরজিৎবাবুকে সিভিক পুলিশের সামনেই মারধর করে পালিয়ে যায়। ডিসি (ট্রাফিক) সুমিত কুমার পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে গোলমাল হয়নি। বাইক আরোহীদের নিজেদের মধ্যে গোলমাল। আহত ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy