নিত্যযাত্রীদের অনেকেই নামবেন বলে ভিড় জমিয়েছিলেন ট্রেনের দরজায়। যাঁরা ট্রেনটিতে উঠবেন, তাঁরাও ভিড় করে অপেক্ষা করছিলেন লিলুয়া প্ল্যাটফর্মে। নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা করলেন স্টেশন কতৃর্পক্ষ। ট্রেনও স্টেশনে ঢুকলো। কিন্তু থামল না। সবার চোখের সামনে দিয়ে হুহু করে ছুটে বেরিয়ে গেল আপ ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে। কেন ট্রেন থামেনি তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি হাওড়া ডিভিশনের কর্তারা। রেল সূত্রের খবর, থামার কথা না থাকলেও যাত্রীদের কথা ভেবে ট্রেনটিকে পরে থামানো হয় বেলুড় স্টেশনে। সেখানে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে রেখে অপেক্ষারত যাত্রীদের লিলুয়া থেকে একটি লোকাল ট্রেনে নিয়ে আসা হয় বেলুড়ে। ওই যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার পরে তা ফের রওনা দেয়। পরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘কেন ট্রেন লিলুয়ায় থামেনি তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ঘটনার ধরণ দেখে রেল কর্তাদের একাংশ বলছেন, হয় সিগন্যাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি হয়েছিল অথবা চালক থামতে ভুলে গিয়েছিলেন। তবে এ দিনের এই ঘটনায় যাত্রী থেকে কর্তা-কর্মীদের একাংশ রেলকেই দুষছেন।
তাঁদের কথায়, পূর্ব রেলের সব ডিভিশনেই নিত্য দিন নানা গোলমাল হচ্ছে। ট্রেনে আগুন লাগা থেকে শুরু করে শৌচাগারের জল সরবরাহে গোলমালের মতো ঘটনা ঘটছে। রেল কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, দেখার লোকজন না থাকায় কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠেছে। বোর্ড থেকে যাত্রী পরিষেবা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ত্রুটি মুক্ত করার জন্য বারবার নির্দেশ আসছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সবাই চলছেন আপন খেয়ালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy