Advertisement
E-Paper

সপ্তাহের শুরুতেই বিপত্তি মেট্রোয়, ভোগান্তি

এ দিন সাতসকালে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে বিভ্রাটের জেরে দিনভর ভুগতে হয় যাত্রীদের।দিনভর কার্যত  ধাক্কা খেতে খেতে এগোল ট্রেন। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০ মিনিটের মধ্যেই যান্ত্রিক বিভ্রাট ঠিক করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার জেরে তাঁরা ভুগেছেন সারা দিনই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৪১

মেট্রো আছে মেট্রোতেই!

গত শনিবার পার্ক স্ট্রিটে বিকট শব্দে মেট্রো থমকে যাওয়ার পরে সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ফের ভোগাল পাতাল রেল।

এ দিন সাতসকালে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে বিভ্রাটের জেরে দিনভর ভুগতে হয় যাত্রীদের।দিনভর কার্যত ধাক্কা খেতে খেতে এগোল ট্রেন। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০ মিনিটের মধ্যেই যান্ত্রিক বিভ্রাট ঠিক করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার জেরে তাঁরা ভুগেছেন সারা দিনই। অভিযোগ, সময় পেরিয়ে গেলেও ট্রেন আসেনি। একটি নয়, দু’টি ট্রেনের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে যে ট্রেনটি এসেছে তাতে ভিড়ের ঠেলায়
উঠতে নামতে ঘেমে জল হয়েছেন মেট্রোযাত্রীরা।

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে ব্রেক-বাইন্ডিংয়ের সমস্যার জন্য ৯টা ৪ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ পর্যন্ত মেট্রো বন্ধ ছিল। তবে ওই সময় মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যে ট্রেন চলাচল করেছে।”

এ দিন সকাল ৯টা ৪মিনিট নাগাদ একটি নন এসি রেক শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। যাত্রীদের ওঠানামা শেষ হলে চালক ট্রেন ছাড়তে গিয়ে দেখেন একটি কামরায় ব্রেক আটকে গিয়েছে। মেট্রোর পরিভাষায় ওই ঘটনাকে ‘ব্রেক-বাইন্ডিং’ বলে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পরে তিনি বিষয়টি কন্ট্রোল রুমে জানান।

মেট্রো সূত্রের দাবি, শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে সকাল ৯টা নাগাদ একটি নন এসি রেকের ব্রেক আটকে যায়। ওই ত্রুটি মেরামত করে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই কবি সুভাষ স্টেশন থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ থমকে যায়। প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ থেকে নেতাজি পর্যন্ত ছ’টি স্টেশনে আটকে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী। অফিসের ব্যস্ত সময়ে অনেকেই মেট্রো থেকে নেমে বাস-অটো ধরতে দৌঁড়ন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যে মেট্রো চালান। কিন্তু মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে নিউ-গড়িয়ার মধ্যে একাধিক স্টেশনে আটকে ছিল বেশ কয়েকটি মেট্রো রেক। ফলে বাকি পথে মেট্রো চললেও রেকের অভাবে পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

পরে, বিকল হয়ে যাওয়া রেকটিকে মেরামতির জন্য নোয়াপাড়া নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রেকটিকে এ দিন আর চালানো হয়নি। তবে ওই রেক সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও সারা দিনেও ট্রেন চলাচল আর স্বাভাবিক হয়নি বলেই দাবি যাত্রীদের।
দমদমের এক অফিস যাত্রী বলেন “সকাল ১১টা নাগাদ স্টেশনে এসে দেখলাম দুটো মেট্রোর সময় পেরিয়ে গেল। কিন্ত ট্রেন এল না।” অন্য এক যাত্রীর আবার অভিজ্ঞতা, ‘‘প্রায় দেড় মিনিটের ব্যবধানে দু’টি মেট্রো চলে এসেছে।’’

এ দিনের বিভ্রাটের কারণ কি?

এক মেট্রো কর্তা বলেন, মেট্রোয় মোটর এবং ব্রেকের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকে। স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর পর মোটর বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্রেক সক্রিয় থাকে। পরে ট্রেন ছাড়ার সময় কোনও একটি কামরাতেও যদি ব্রেক আটকে থাকে তবে মোটর স্টার্ট করা যায় না এ দিন তেমনই হয়েছিল।

Kolkata Metro Metro Railway Trains শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন Shahid Khudiram metro station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy