E-Paper

জাল নথি দিয়ে ঋণ ৯৫ লক্ষ, দোষী সাব্যস্ত দুই

এস এম নেকার ও ত্রিদিবেশকে দোষী সাব্যস্ত করেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। তবে, মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তরুণ ও বিশ্বপ্রিয়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৩১

—প্রতীকী চিত্র।

সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার ঘটনায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার এবং ঋণ গ্রহীতাকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। তবে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দু’জনকে বেকসুর খালাস করেছেন বিচারক।

আদালত সূত্রের খবর, ২০১১ সালে সম্পত্তি বন্ধক রেখে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৯৫ লক্ষ টাকাঋণ নিয়েছিলেন ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, তিনি সেই ঋণ পরিশোধ করেননি। এর পরেই ওই প্রতারণার ঘটনারতদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, জাল নথি দিয়ে এবং সম্পত্তির প্রকৃত মূল্যের অতিরিক্ত বাজারদর দেখিয়ে ওই টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দাম নির্ধারণ করেছিলেন তরুণ ঘোষাল নামে এক ব্যক্তি। সমস্ত নথি ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলেন পেশায় আইনজীবী বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। অভিযোগ, ব্য়াঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজার এস এম নেকার নথি যাচাই না করেই ঋণ মঞ্জুর করেন। তদন্তে নেমে চার জনকেই গ্রেফতার করে সিবিআই।

সোমবার এই মামলার শুনানিতে এস এম নেকার ও ত্রিদিবেশকে দোষী সাব্যস্ত করেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। তবে, মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তরুণ ও বিশ্বপ্রিয়কে।

তরুণ ঘোষালের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও তথ্যপ্রমাণ বা নথি পেশ করতে পারেনি। একই ভাবে, তথ্যপ্রমাণ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকেও অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।’’ আজ, মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত দু’জনের সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Alipore Court Fraud

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy