সরকারি এবং লাভজনক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৃতীয় কোনও স্তর থাকা দরকার। যেখানে পরিকাঠামো পরিচালনার খরচটুকু ছাড়া মুনাফা করার কোনও বিষয় থাকবে না। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ভবানীপুরে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ ভাবে পথ চলা শুরু করল সোনারপুরের যকৃৎ চিকিৎসার একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
প্রায় ১৩ বছর বন্ধ ছিল ভবানীপুরের ‘গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল।’ সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নতুন রূপে ওই হাসপাতালের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসরানন্দ, সিএমসি-ভেলোরের অতিরিক্ত অধিকর্তা উদয় জি জ়াকারিয়া, সমাজকর্মী এস পি সিংহ ওবেরয়, গুরুদ্বার সন্ত কুঠিয়ার সাধারণ সম্পাদক অবতার সিংহ-সহ অন্যেরা।
সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত স্তরের মানুষের কাছে সুলভে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে তাদের এই পরিকাঠামো সোনারপুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব লিভার ডাইজেস্টিভ সায়েন্সেস’ (আইআইএলডিএস)-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভবানীপুর গুরুদ্বার সন্ত কুঠিয়া। আইআইএলডিএস-এর উপদেষ্টা, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘ওঁদের তেতলা হাসপাতালের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দেব। ন্যূনতম খরচে এখন ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনা-সহ সপ্তাহের ছ’দিন সমস্ত রকমের বহির্বিভাগের সুবিধা মিলবে। আগামী এক বছরের মধ্যে ৫০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)