—প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্কের চেকবই রয়েছে বাড়িতেই। তবু চিকিৎসকের সেই চেকবইয়ের চেক ভাঙিয়েই কয়েক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তোলা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে চেক অবিকল নকল করার একটি চক্রের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। এর পরে রত্নগিরি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চক্রের দুই পান্ডাকে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কৈলাস যুবরাজ সানোয়ার এবং তিলক রণবীর তানোয়ার।
গত শুক্রবার কৈলাসকে বাড়ি থেকে পাকড়াও করেন চিৎপুর থানার পুলিশ। জেরার মুখে সে জানায়, তাদের একটি চক্র রয়েছে। সেই চক্রটি চালায় তিলক। পরের দিন তিলককে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে ট্রানজিট রিমান্ডে সোমবার কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ধৃতদের। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ধৃতরা আন্তঃরাজ্য চেক জালিয়াতির চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের এ দিন শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে তাদের ১১ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। ধৃত কৈলাসের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২ ফেব্রুয়ারি চিৎপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, তাদের গ্রাহক অভিজিৎ ভক্তের অ্যাকাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। চিকিৎসক অভিজিতের অ্যাকাউন্ট থেকে দু’দফায় মোটা টাকা তোলার চেক জমা পড়ার পরে টনক নড়ে ব্যাঙ্কের। গ্রাহকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তখনই জালিয়াতির ব্যাপারটি ধরা পড়ে। প্রথম দফায় টাকা তুলে নেওয়া হলেও দ্বিতীয় দফায় ব্যাঙ্ক ওই চেক আটকে দেয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের বাসিন্দা কৈলাস ও রাজস্থানের বাসিন্দা তিলক রত্নগিরিতে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকত। সেখানে ওই চক্রটি রীতিমতো অফিস খুলে বসেছিল। বিভিন্ন ব্যাঙ্ককর্মীদের যোগাযোগ রেখে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিত তারা। পরে ওই তথ্য ও সই জাল করে চেক অবিকল নকল করত। ফোটোশপের সাহায্যে বদলানো হত চেক নম্বর, আইএফএসসি কোড ও ব্যাঙ্কের শাখার নাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy