E-Paper

পর পর দু’টি পথকুকুরের মৃত্যু, খুন সন্দেহে থানায় অভিযোগ

অভিযোগকারী মহিলার নাম মীরা সরকার। তিনি তিলজলা থানা এলাকার মসজিদবাড়ি লেনের বাসিন্দা। মীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে বাড়ির আশপাশের কয়েকটি পথকুকুরকে দেখাশোনা করছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:৪১
দু’টি পথকুকুরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

দু’টি পথকুকুরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

এক সপ্তাহের মধ্যে পাড়ায় দু’টি পথকুকুরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তাদের খুন করা হয়ে থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পশু নির্যাতন বিরোধী আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগকারী মহিলার নাম মীরা সরকার। তিনি তিলজলা থানা এলাকার মসজিদবাড়ি লেনের বাসিন্দা। মীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে বাড়ির আশপাশের কয়েকটি পথকুকুরকে দেখাশোনা করছেন তিনি। প্রায় ১৫টি কুকুর তাঁর বাড়ির আশপাশে সব সময়ে থাকে। সকাল-বিকেল তাদের খেতে দেন। তাঁর অভিযোগ, ৯ জুন ওই কুকুরগুলির মধ্যে বছরখানেক বয়সি একটি কুকুরের হঠাৎ মৃত্যু হয়। পাড়াতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। এর ছ’দিনের মাথায়, ১৫ জুন সকালে আরও একটি সমবয়সি কুকুরের দেহ মেলে। সেই কুকুরটির নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল বলে মহিলার দাবি।

মীরার কথায়, ‘‘দু’টি কুকুরের কারও কোনও রোগ ছিল না। সব সময়ে দৌড়োদৌড়ি, খেলা করত। হঠাৎ করে তাদের একটির মৃত্যুতে খুনের সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন না যেতেই আরও একটি কুকুরের মৃত্যুতে সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। কেউ বা কারা পরিকল্পনা করে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলছে।’’ মহিলা জানান, পথকুকুরদের খাওয়ানোর ব্যাপারে কয়েক জন প্রতিবেশী দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে বছরখানেক আগে তাঁর বাড়িতে কয়েক জন চড়াও হন বলেও মহিলার দাবি। এমনকি, ঢিল মেরে তাঁর জানলার কাচও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পথকুকুরদের খাওয়ানো বন্ধ করতে তাঁকে নিয়মিত হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে মীরার দাবি। তাঁর সন্দেহ, প্রতিবেশীদের ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও পথকুকুরদের খাওয়ানো বন্ধ না করায় পরিকল্পনা করে তাদের খুন করা হয়েছে। বাকি কুকুরদেরও মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।

মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে তিলজলা থানা। তাতে পশু নির্যাতন বিরোধী আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dog tiljala

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy