E-Paper

ফেরত-জটে আটকে গবেষণার টাকা, ইউজিসি-র চিঠি যাদবপুরকে

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রথম এই অনুদান পায় ২০০৪ সালে। পাঁচ বছরের জন্য পাওয়া ওই অর্থের ব্যবহারের তথ্য দেওয়ার পরে আবার ২০০৯ সালে তারা এই গবেষণা-অনুদান পেতে শুরু করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০১
A Photograph of Jadavpur University

বিভাগীয় গবেষণায় বিশেষ সহায়তার (স্যাপ ডিআরএস) জন্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে টাকা দিয়েছিল ইউজিসি। ফাইল ছবি।

টাকা কোথায় গেল? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গবেষণার জন্য যে টাকা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে, তার খানিকটা অংশ ঘিরে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় গবেষণায় বিশেষ সহায়তার (স্যাপ ডিআরএস) জন্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ওই টাকা দিয়েছিল ইউজিসি। সেই টাকার উদ্বৃত্ত অংশ ইউজিসি-র কাছে ফেরত গিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি। কিন্তু ইউজিসি জানাচ্ছে, তারা ওই টাকা পায়নি।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রথম এই অনুদান পায় ২০০৪ সালে। পাঁচ বছরের জন্য পাওয়া ওই অর্থের ব্যবহারের তথ্য দেওয়ার পরে আবার ২০০৯ সালে তারা এই গবেষণা-অনুদান পেতে শুরু করে। ২০১৪ সালে সেই অনুদানের মেয়াদ ফুরনোর পরে উদ্বৃত্ত ছিল ২০ লক্ষ টাকা। নিয়মানুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই টাকা ইউজিসি-কে ফেরত দেওয়ার কথা।

সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে টাকা ফেরতের জন্য প্রথম তাগাদা দেয় ইউজিসি। এর পরে ২০২০-র ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ইউজিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্বৃত্ত ওই ২০ লক্ষটাকা তারা পায়নি। সুদ সমেত তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৭৯ টাকা। তখন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, এই খাতে টাকা নেওয়ার জন্য যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল, ২০১৭ সালে বিভাগীয় বোর্ড অব স্টাডিজ়ের বৈঠকে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ওই টাকা সুদ সমেত কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। উত্তরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দেন, ওই টাকা ইউজিসি-কে ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই টাকা ফেরত চেয়ে আবার চিঠি দিয়েছে ইউজিসি।

বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেনে নেন, এই ধরনের একটি জটিলতা হয়েছে। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘দ্রুত যাতে বিষয়টির সমাধান হয়, সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

UGC Research works Jadavpur University

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy