মহম্মদ ওমরকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। নিজস্ব চিত্র।
উল্টোডাঙা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর আড়াইয়ের একটি শিশু। তার সন্ধান মিলেছে উলুবেড়িয়ায়। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে একটি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও। নিখোঁজ রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে উত্তেজনাবশত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন উল্টোডাঙা থানার সাব ইনস্পেক্টর শেখ আফতাব আহমেদ।
গত সপ্তাহে বেলগাছিয়া বস্তি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর আড়াইয়ের এক শিশু। তার নাম মহম্মদ ওমর। এ নিয়ে উল্টোডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করেন ওমরের বাবা। গত সোমবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বিকেলে হাওড়ার উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি চত্বরে এক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় থানার মহিলা পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মাইকে প্রচারও চালানো হয়। তবে বাচ্চাটির বাবা-মায়ের খোঁজ মেলেনি। এর পরেই ওমর নামের এক শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তথ্য জানতে পেরে উল্টোডাঙা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার শিশুটিকে সরকারি হোম থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থানার পুলিশের কাছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে উল্টোডাঙার এক পুলিশ অধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনাও। ওই শিশুর নিখোঁজ-কাণ্ডের তদন্তভার ছিল উল্টোডাঙা থানার সা ইনস্পেকটর শেখ আফতাব আহমেদে কাঁধে। তদন্তে নেমে তিনি মহম্মদ আমিন নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেন। আমিন সম্পর্কে ওই শিশুটির কাকা। পুলিশের দাবি, ওমরের বাবার সঙ্গে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা চলছিল আমিনের। তাই সে ওমরকে অপহরণ করে। এর পর ওমরকে নিয়ে কী করবে বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাকে উলুবেড়িয়ার একটি পুজো মণ্ডপের সামনে ফেলে রেখে আসে আমিন। সেখান থেকেই স্থানীয়েরা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন আফতাব। জেরায় সব কথা স্বীকারও করে নেয় আমিন। এর পরেই আফতাব হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফতাবের এক সহকর্মীর কথায়, ‘‘ও এই তদন্তটায় পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েছিল। তার কারণ অপহৃত শিশুটির বয়সি একটি বাচ্চা রয়েছে আফতাবের। এর পরেই দুর্ঘটনাটা ঘটে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy