প্রতীকী ছবি।
মেলার এক ব্যবসায়ীর অপমৃত্যু ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুলকালাম বাধল দত্তপুকুরের হাটখোলায়। অভিযোগ ওঠে, মারধর করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। ওই যুবকের পরিচিত বাসিন্দারা মেলায় তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। অবরোধ করা হয় সড়ক ও রেলপথ। ভাঙচুর চালানো হয় কিছু দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায় পুলিশ।
মৃত যুবকের বাড়ি দত্তপুকুরের মসজিদপাড়ায়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে হাটখোলায় যশোর রোডের ধারে একটি ক্লাবের মাঠে প্রতি বছর ওই মেলা বসে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে এ বছরও মেলা শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবারই ছিল শেষ দিন। ওই ব্যবসায়ী মেলায় মনোহারি দোকান দিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে এক মহিলা ক্রেতার সঙ্গে তাঁর গোলমাল বাধে। অভিযোগ, মহিলাকে কটূক্তি করেন ওই ব্যবসায়ী। দু’পক্ষের ঝামেলায় লোক জড়ো হয়ে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ে মেলা কমিটির সদস্যদের কয়েক জন ব্যবসায়ীকে পাশের ক্লাব ঘরে নিয়ে যান। সেখানে বেদম মারধর করে তাঁকে আটকে রাখা হয়। কিছু ক্ষণ পরে ওই ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ।
মেলায় ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত, এলাকারই কয়েক জন ছিলেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্লাব ঘরের বাইরে ভিড় জমে যায়। খবর যায় ব্যবসায়ীর পাড়াতেও। তার পরেই সেখান থেকে দলে দলে লোক মেলায় আসতে শুরু করে। এর পরেই ভেঙে তছনছ করা হয় মেলা ও রাস্তার ধারের বেশ কয়েকটি দোকান। বাদ যায়নি বিদ্যুতের বাতিও।
এমনিতেই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের পর থেকে মেলার পরিস্থিতি ছিল থমথমে। তার উপরে তাণ্ডবের জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ছোটাছুটি শুরু করেন দর্শকেরা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে যশোর রোড অবরোধ শুরু হয়। ব্যবসায়ীকে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ এলেও অবরোধ তোলা যায়নি। রাত ন’টা নাগার অবরোধ শুরু হয় দত্তপুকুর এক নম্বর রেলগেটে।
মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। খুনের পরে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ব্যবসায়ী এক মহিলাকে কটূক্তি করার পরে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে দোকান থেকে সরিয়ে ক্লাব ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধর করা হয়নি। এর পরেই তিনি আত্মঘাতী হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy