রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক আইনজীবীর। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ টাউনে। মৃতের নাম রজত দে (৩৪)। পুলিশ জানায়, মৃতের বাবা সমীর দে অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ছেলের মৃত্যুর জন্য রজতের স্ত্রী অনিন্দিতা দে-কে দায়ী করেছেন তিনি।
পুলিশকে সমীরবাবু জানিয়েছেন, শনিবার গভীর রাতে অনিন্দিতার ভাই অভীক পালের ফোনে তাঁর ঘুম ভাঙে। অভীক জানান, রজত খাট থেকে পড়ে গিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে গিয়েছেন। সমীরবাবু রজতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছেন না জানিয়ে ফোন কেটে দেন অভীক। এর পরে বরানগরের বাড়ি থেকে ছেলের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে পৌঁছন সমীরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখি, ঘরের মধ্যে চেয়ার, টেবিল ও অন্য আসবাবপত্র উল্টে রয়েছে। গোটা ফ্ল্যাট লণ্ডভণ্ড। রজত মেঝের উপরে পড়ে রয়েছে।’’ সেই সময়ে ফ্ল্যাটে রজতের স্ত্রী এবং ভাই, কেউই ছিলেন না বলে জানিয়েছেন সমীরবাবু। তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রজতকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সমীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রায়ই রজতের উপরে অত্যাচার করত ওর স্ত্রী। রজতের শ্যালক মিথ্যা বললেন কেন? রজতকে তো ওদেরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা।’’ মৃতার স্ত্রী জানান, রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেও পাশের ঘরে কাগজ পড়ছিলেন রজত। রাত একটা নাগাদ ঘুম ভাঙলে তিনি দেখেন, রজত অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে। অনিন্দিতা বলেন, ‘‘স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। ঘটনার সময়ে আমি ঘাবড়ে গিয়ে প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে ছিলাম। আমিও চাই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক।’’
এই ঘটনায় নিউ টাউন থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।