দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল কসবার বোসপুকুর এলাকা। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। বোমার আঘাতে জখম হন এক পথচারী। কসবা থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এই হাতাহাতি।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ বোসপুকুর রোডে একটি দোকানের সামনে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ বাচ্চু কোনও একটি বিষয় নিয়ে আর এক বাসিন্দা অজয় পাণ্ডের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা গড়ায় হাতাহাতিতে। দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি চলতে থাকায় জড়ো হয়ে যায় তাদের অনুগামীরা। এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই বাচ্চু ও তার সঙ্গীরা অজয়কে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, অজয়ের তরফেও পাল্টা বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা অক্ষয় সাউ। তিনি কানে শুনতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। শনিবারের রাতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘২২ বছর এখানে রয়েছি। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। খুব আতঙ্কে আছি।’’ অক্ষয় বলেন, ‘‘ওই রাতে মুদির দোকানে কয়েকটি জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম। দাঁড়িয়েছিলাম দোকানের সামনেই। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ শুনি। দেখি, আমার পা দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে।’’ গোলমালের খবর পেয়ে কসবা থানার সাব-ইনস্পেক্টর প্রসেনজিৎ নস্কর ও শুভঙ্কর দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ছুটে আসে। খবর যায় লালবাজারেও।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিথিলেশ সাউ বলেন, ‘‘বোমাবাজি চলতে থাকায় ভয়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’’ রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় শেখ হাফিজুদ্দিন, শেখ বাচ্চু, শেখ শাহিদ, শেখ কামাল, অজয় পাণ্ডে, অমিত পাণ্ডে, কৌশিক কর্মকার ও সুজিত পাণ্ডে নামে আট জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বোমা মজুত রাখা এবং দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে কসবা থানার পুলিশ।