প্রতীকী ছবি।
বাসের ভিতরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া এক প্রৌঢ়কে ‘গ্রিন করিডর’ করে হাসপাতালে পৌঁছল পুলিশ। প্রৌঢ়কে পরীক্ষা করে এমআর বাঙুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
বুধবার সকালে নেতাজিনগরের কাছে একটি মিনিবাসের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্কর দাস নামে ওই প্রৌঢ়। কিন্তু ট্র্যাফিক পুলিশ উদ্যোগী হয়ে তাঁকে অটোয় চাপিয়ে গ্রিন করিডর করে নেতাজিনগর থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। শঙ্করবাবুকে হাসপাতালে পৌছতে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার সব কয়টি সিগন্যাল সবুজ করে দেওয়া হয় বলে লালবাজার জানিয়েছে। এমনকি হাসপাতালে পৌঁছন মাত্রই যাতে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় তাই আগাম এম আর বাঙুরের চিকিৎসকদের জানিয়েও রাখে পুলিশ।
শঙ্করবাবুর পরিবারের লোকজন জানান, এ দিন সকালে কালীঘাট যাবেন বলে হরিনাভি-হওড়া রুটের মিনিবাসে ওঠেন তিনি। হরিনাভির বাসিন্দা বছর তেষট্টির শঙ্করবাবু এনএসসি বসু রোডের নেতাজিনগরের কাছে বাসের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ক্ষেত্রে প্রৌঢ়ের সহযাত্রীরা এবং বাসের কন্ডাক্টরও মানবিক আচরণ দেখিয়েছেন। তাঁরাই প্রথম উদ্যোগী হয়ে অফিসের ব্যস্ত সময়ে রাস্তার উপরে মিনিবাস থামিয়ে দেন। তার পরে ওই সময় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্টের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলেন। অসুস্থ প্রৌঢ়ের দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন বলেই তাঁরা পুলিশকে জানান।
লালবাজার জানাচ্ছে, ওই সময় ঘটনাস্থলে ডিউটিতে ছিলেন রিজেন্ট পার্ক ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শান্তনু নস্কর। তিনি ঘটনাটি জেনেই ওই ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি সোমনাথ
মিত্রকে সব বিষয়টি জানান। এর পরেই পুলিশ তৎপর হয় শঙ্করবাবুকে হাসপাতালে পৌঁছতে। অসুস্থ শঙ্করবাবুকে বাস থেকে নামিয়ে একটি অটোয় বসানো হয়। তার পরে সার্জেন্ট শান্তনুবাবু সেটি নিয়ে এম আর বাঙুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ইতিমধ্যে ওসি সোমনাথবাবু প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার সব সিগন্যাল সবুজ করে দিয়ে অটোটিকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনর ব্যবস্থা করেন। একইসঙ্গে তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়টি জানিয়ে শঙ্করবাবুর চিকিৎসার আগাম ব্যবস্থা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy