কোন সংস্থার কাজের পরিধি কতটা, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছিল বিভ্রান্তি। সেই কারণে পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি প্রকল্প-সহ পরিকাঠামোগত সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই অসুবিধা হচ্ছিল। সেই সমস্যার সমাধানে কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়া (কেএমএ) ও রাজ্যের বাকি অংশে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দায়িত্ব দুই সংস্থার মধ্যে নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে দিল রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, কেএমএ-র অধীন এবং কেএমএ-র অধীনে নেই, এমন এলাকায় ক্ষেত্রবিশেষে ও পুরসভা, পুরনিগমগুলির প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে মূলত একটি সংস্থা এবং একটি ডিরেক্টরেট থাকে। রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর দফতরের অধীনস্থ এই সংস্থা হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ডিরেক্টরেটটি হল মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট (এমইডি)। এমইডি পুর এলাকার অধীনস্থ প্রকল্পগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা (টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) দিয়ে থাকে। অম্রুত, গ্রিন সিটি মিশন, এনইউএলএম-সহ বিভিন্ন প্রকল্পেও সহায়তা করে এমইডি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভাগুলির বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছিল, কেএমডিএ না এমইডি, কে কোনটা রূপায়ণ করবে, তা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে দফতরের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে এই
দুই সংস্থার মধ্যে কাজের পরিধি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য বলছে, ৪০টি পুর এলাকার প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ-কে। এর মধ্যে কলকাতা পুর এলাকা, হুগলি, হাওড়া জেলার অধীনস্থ পুরসভা যেমন রয়েছে, তেমনই নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরসভাও রয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যের ৮৮টি পুর এলাকার প্রকল্প
রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমইডি-কে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি যেমন রয়েছে, তেমনই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানও রয়েছে। রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প, নিকাশি প্রকল্প, ফিক্যাল
স্লাজ পরিশোধন প্লান্ট-সহ পরিকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্প কারা রূপায়িত করবে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশার জায়গা তৈরি হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সেই ধোঁয়াশা
কাটানোর জন্যই একেবারে তালিকা করে কোন সংস্থা কোন এলাকায় কাজ করবে, তা নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)