Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Eric Garcetti

কলকাতায় হারিয়ে যেতে চান রাষ্ট্রদূত

গলি দিয়ে হেঁটে পার্সিদের অগ্নিদেবতার মন্দির দর্শন বা পুরনো মসজিদের মুখোমুখি হওয়া চা, পুরি খাওয়ার কথা বলেন তিনি। বড়বাজারের বেথ-এল সিনাগগ, টেরিটিবাজারের চিনাপাড়াতেও ছবি তোলেন এরিক।

কলকাতার রাস্তায় এরিক।

কলকাতার রাস্তায় এরিক। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৪
Share: Save:

কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়ানো ছবি টুইটারে দিয়ে ‘দুই অ্যাম্বাসাডর’ লিখেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাতেও কলকাতা নিয়ে মুগ্ধতা ঝরে পড়ল তাঁর কণ্ঠে। কূটনীতিকের বর্ম যেন ঝেড়ে ফেলেই এরিক বলছিলেন, “কলকাতা এমন শহর, যার রাস্তায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। রাষ্ট্রদূতের জন্য কাজটা সমস্যার! দিল্লি সুন্দর, পরিকল্পিত। কিন্তু কলকাতা বেপরোয়া! যে বলে, আমার কোনও ভাণ নেই। এটাই আমি!”

মধ্য কলকাতার পাঁচমিশেলি মহল্লায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছিলেন এরিক। গলি দিয়ে হেঁটে পার্সিদের অগ্নিদেবতার মন্দির দর্শন বা পুরনো মসজিদের মুখোমুখি হওয়া চা, পুরি খাওয়ার কথা বলেন তিনি। বড়বাজারের বেথ-এল সিনাগগ, টেরিটিবাজারের চিনাপাড়াতেও ছবি তোলেন এরিক। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও শহরে স্ববিরোধ থাকাটাই আমায় টানে। কলকাতার রঙিন মহল্লায় মনে হচ্ছিল, এত বিচিত্র জনসংখ্যাই জাতিকে গড়ে তোলে। এটা জরুরি শিক্ষা।’’

স্বাধীন আমেরিকার দ্বিতীয় কনসুলেটটাই কলকাতায় গড়ে উঠেছিল। এরিক বলছিলেন, “জর্জ ওয়াশিংটন ১৭৯৪-এর এপ্রিলে কনসাল-জেনারেল বেঞ্জামিন জয়কে পাঠিয়েছিলেন। তখন থেকে আমরা আছি!” রাষ্ট্রদূত এ দিন বলেন, “আমেরিকায় পড়তে বা গবেষণা করতে যাওয়ার সব থেকে বেশি ভিসা এখন ভারতে কলকাতা থেকেই মঞ্জুর হচ্ছে। এটা গর্বের। কলকাতার শিক্ষিত বিদগ্ধ মননের পরিচয়।” এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লি ফেরার আগে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন এরিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Eric Garcetti US Ambassador
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE