প্রতীকী চিত্র।
অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস মেলার এক বছরের মাথায় বিচার শেষ করে ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক প্রদীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় পশ্চিম বন্দর থানার ওই পাঁচ অভিযুক্তের প্রত্যেককে পাঁচ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। আর এক অভিযুক্ত অস্ত্র আইনে নাবালক হওয়ায় তার তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেআইনি অস্ত্র কারখানা চালানো এবং অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ওই ছ’জনকে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে মহম্মদ ইজাজ ওরফে সোনু, মহম্মদ রাজা, সরফরাজ আলম, আফরোজ আলম এবং মহম্মদ ইমতিয়াজকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ষষ্ঠ অভিযুক্ত সৌরভ কুমারের তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল জানান, অস্ত্র কারবারিদের বিরুদ্ধে এক বছরের মধ্যে দোষীদের সাজা ঘোষণা সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি। অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে দ্রুত বিচার-পর্ব শেষ করার মধ্যে দিয়ে বেআইনি অস্ত্র কারবারীদের বিরুদ্ধেই বার্তা দেওয়া হল বলে দাবি করেছেন তিনি। লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস এবং অস্ত্র পাচারকারীদের খোঁজ পাওয়ার পরেই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে দ্রুত তদন্ত শেষ করেন অফিসারেরা। ঘটনার এক মাসের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছরের ২৪ জুলাই পশ্চিম বন্দর থানার তৎকালীন ওসি পার্থপ্রতিম দাসের নেতৃত্বে সাব-ইনস্পেক্টর বিনোদ কুমার এবং অভিজিৎ দে তিলজলার চন্দ্রনাথ রায় রোডের একটি ফ্ল্যাটে ওই অস্ত্র কারখানার খোঁজ পান। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আটটি ৭.৬৫ এমএম সেমি-অটোম্যাটিক পিস্তল, ৫০ রাউন্ড কার্তুজ, ১৬টি ম্যাগাজিন এবং প্রচুর যন্ত্রাংশ। ধৃতেরা সকলেই বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। সেখান থেকে কলকাতায় এসে তিলজলার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তারা অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy