আবার বোমাবাজি, মারামারির ঘটনায় উত্তপ্ত ভাটপাড়া। প্রতীকী ছবি
নির্বাচনের আগের রাতেই বোমাবাজি ও মারধরের অভিযোগে ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। শনিবার ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জগদ্দল বাজারের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাড়িটিতে বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। কী ভাবে বোমা ফাটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য দিকে, এ দিন ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী প্রদ্যুৎ ঘোষের উপর চড়াও হয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থী রাজ বিশ্বাস এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে রাজকে লক্ষ্য করেই গুলি চলেছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এমন কিছুই করা হয়নি।’’
এ দিকে, শুক্রবার রাতে টিটাগড়ে তৃণমূলের অস্থায়ী কার্যালয় লক্ষ্য করে বিজেপি সমর্থকেরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। একজন তৃণমূল কর্মী জখম হন। সেই
রাতেই কামারহাটির সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধেও। যদিও দু’দলই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার মধ্যে উত্তর শহরতলির ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১৬টি পুরসভার মোট ২৮৯৪টি বুথে আজ, রবিবার ভোট। এর মধ্যে ৮০৩টি বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে নির্বাচন হচ্ছে। গত শুক্রবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী বাবলি দে’র মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ভাটপাড়ার সবক’টি বুথকেই ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তাই সবক’টি বুথেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়তি পুলিশ বাহিনী, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনও রাখা হচ্ছে। জগদ্দল ও ভাটপাড়া বিধানসভা মিলিয়েই এই ভাটপাড়া পুর এলাকা। এর মধ্যে ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, বাকি ওয়ার্ডগুলি জগদ্দলের মধ্যে পড়ছে। এর মধ্যে ২, ৬, ১৭ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীরা সম্প্রতি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
দমদমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী দীপেন মজুমদারের মৃত্যুতে সেখানেও ভোট স্থগিত রয়েছে। তবে ভোটের আগে হালিশহরের ১১ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড, বরাহনগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটপাড়ার ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং টিটাগড়ের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট জানিয়েছে, শিল্পাঞ্চলে ভোটের জন্য ১২ হাজার পুলিশকর্মী দায়িত্বে থাকছেন। শনিবার থেকে প্রধান সড়কগুলিতে ৩৩টি নাকা চেকপোস্ট তৈরি হয়েছে। গঙ্গার ঘাটে বাড়তি চেকপোস্ট ও জলপথে পুলিশ নজরদারি চালাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy