Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
KMC

জোয়ারের জন্যই জমেছে জল, দাবি পুরসভার

বেহালার চড়িয়াল খাল সংলগ্ন এলাকা, মতিলাল গুপ্ত রোডের একাংশ, সোদপুর, সত্যজিৎ পার্ক, বিদ্যাসাগর পল্লি, ঠাকুরপুকুর-সহ অনেক জায়গাতেই বেলা পর্যন্ত হাঁটু সমান জল ছিল।

জল-যোগ: বৃষ্টিতে জমা জলে উল্টে পড়া বাইক তোলার চেষ্টা। বৃহস্পতিবার, বিধান সরণিতে। ছবি:  সুমন বল্লভ

জল-যোগ: বৃষ্টিতে জমা জলে উল্টে পড়া বাইক তোলার চেষ্টা। বৃহস্পতিবার, বিধান সরণিতে। ছবি: সুমন বল্লভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৯
Share: Save:

শহরে বৃষ্টির জল দ্রুত নামতে না পারার কারণ হিসেবে জোয়ারের তত্ত্বকেই সামনে আনল পুরসভা।

বৃহস্পতিবার বেলায় জমা জল নামলেও দুপুরের দিকে ফের কয়েক পশলা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, বুধবার রাত ১১টা থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত এক ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮২ মিলিমিটার। ওই ভারী বৃষ্টিতে উল্টোডাঙা, বেলগাছিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, মহাত্মা গাঁধী রোড, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ সংলগ্ন কিছু রাস্তা, বাইপাস সংলগ্ন তপসিয়া, বালিগঞ্জের একাংশ, খিদিরপুর, মোমিনপুর এবং বেহালার অনেক অংশই জলমগ্ন হয়ে যায়। বেহালার চড়িয়াল খাল সংলগ্ন এলাকা, মতিলাল গুপ্ত রোডের একাংশ, সোদপুর, সত্যজিৎ পার্ক, বিদ্যাসাগর পল্লি, ঠাকুরপুকুর-সহ অনেক জায়গাতেই বেলা পর্যন্ত হাঁটু সমান জল ছিল। গড়িয়ারও অনেক জায়গায় এ দিন জল দাঁড়ায়।

পুরসভা সূত্রের খবর, উত্তরের মানিকতলা, বীরপাড়া, বেলগাছিয়া, পামার ব্রিজ, ঠনঠনিয়া এবং তপসিয়া এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫০, ৪৪, ৫১, ৫৯, ৪৯ এবং ৮২ মিলিমিটার। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ, কালীঘাট, মোমিনপুর এবং গড়িয়ার কামডহরিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫৮, ৩৩, ২৫ এবং ৭০ মিলিমিটার।

পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এ দিন ভোরে গঙ্গায় জোয়ার থাকায় তার সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত খালের মুখে লকগেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রবল বৃষ্টিতে শহরের নিচু জায়গা থেকে শুরু করে গঙ্গার আশপাশে যে সমস্ত নালা রয়েছে, সেখান থেকে জল বেরোতে পারেনি। সাড়ে আটটার পরে জোয়ার চলে যেতেই সমস্ত লকগেট খুললে জল নামতে শুরু করে।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, “জোয়ারের জন্য লকগেট বন্ধ রাখতে হয়েছে ঠিকই। তার পরে লকগেট খুলতেই জল ধীরে ধীরে নামে।’’ তাঁর দাবি, এ দিন সকালে শহরে এক ঘণ্টায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তার তুলনায় জল যথেষ্ট দ্রুতই নেমে গিয়েছে। তবে, তপসিয়া, ঠনঠনিয়া, খিদিরপুর এলাকায় নিকাশির কয়েকটি প্রকল্প বাকি। সেই কারণেই ওই সব জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, বেহালার বেশ কিছু জায়গায় কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে নিকাশির কাজ শেষ হয়নি। বিশেষ করে চড়িয়াল খালের একাংশে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার কাজ এখনও বাকি। সেই কারণে বেহালার বেশ কিছু জায়গায় এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় জোয়ারের সমস্যা তো আছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Water Logging High Tide Kolkata Rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE