Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মেলেনি রেলের অনুমোদন, আটকে পানিহাটির জলপ্রকল্প

চার পেরিয়ে পাঁচে পা। এখনও পানিহাটির জলপ্রকল্প থেকে সরবরাহ শুরু হল না। ২০১১-র গোড়ায় পানিহাটিতে জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্গত এই পানীয় জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।

এখনও শুরু হয়নি পরিষেবা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

এখনও শুরু হয়নি পরিষেবা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

জয়তী রাহা
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০০:২৬
Share: Save:

চার পেরিয়ে পাঁচে পা। এখনও পানিহাটির জলপ্রকল্প থেকে সরবরাহ শুরু হল না। ২০১১-র গোড়ায় পানিহাটিতে জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্গত এই পানীয় জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।

এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে কেএমডিএ। সংস্থা সূত্রের খবর, রেলের অনুমোদন না মেলায় এই দেরি। তবে কেন্দ্র থেকে প্রকল্পের টাকা না আসায় বকেয়া অর্থের পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে বলে মানছেন কেএমডিএ কর্তারা। ফলে কাজের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে।

সোদপুরের তেঁতুলতলার জলাধারে পরিশোধিত জল পৌঁছনো এবং সরবরাহের দু’টি পাইপলাইনকে আগরপাড়া ও সোদপুরের রেললাইনের নীচ দিয়ে নিয়ে যেতে রেলের অনুমোদন প্রয়োজন। বাধ সাধছে এখানেই। রেলের অনুমোদন চেয়ে কাগজপত্র আট মাস আগে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। ফলে আটকে রয়েছে কাজ। এমনটাই কেএমডিএ সূত্রের খবর।

পানিহাটির জল সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গঙ্গার জল শোধন করে সরবরাহের পরিকল্পনা হয়েছিল। প্রকল্প শেষে মাথা পিছু জলের যোগান আগের চেয়ে তিন গুণ বাড়বে বলে বলা হয়েছিল গঙ্গা থেকে জল তুলে শোধনাগারে পৌঁছতে পাইপ বসানো হয়েছে। মহোৎসবতলা ঘাটের কাছে তৈরি হয়েছে ইনটেক জেটি। আট নম্বর রেলগেটের পাশের একটি আবাসনের ১১ বিঘা জমিতে হয়ে গিয়েছে পরিশোধনাগার। তেঁতুলতলায় তিন বিঘার উপরে ২ এমবি জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভূগর্ভস্থ জলাধার-সহ ওভারহেড জলাধার।

কেএমডিএ-এর এক আধিকারিক জানান, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ও নীলগঞ্জ রোড-সহ বেশ কিছু এলাকায় ছ’টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। বাকি আরও ছ’টির কাজ। যদিও পানিহাটির উপপ্রধান মলয় রায় বলেন, ‘‘কয়েকটি থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে জল ছাড়া হচ্ছে। পুরোদমে পরিষেবা শুরু হলে পুরনো সার্ভিস লাইনের অনেকগুলিই ভাঙতে পারে। তখন নতুন লাইন বসবে। রেলের অনুমোদন না মেলায় পুরো পদ্ধতিটি আটকে থাকছে।’’

এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি রেলওয়ের বিবেচনাধীন। কবে নিষ্পত্তি হবে এখনই বলা যাচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE