Advertisement
E-Paper

আগাছায় ঢেকেছে শতাধিক টব, খোঁজ নেই প্রশাসনের

অবহেলায় পড়ে থাকা ওই সব টবই এখন কার্যত পরিবেশের বোঝা হয়ে উঠেছে।

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৯
অবহেলা: সৌন্দর্যায়নের বদলে এ ভাবেই আগাছায় ঢেকেছে। নিজস্ব চিত্র

অবহেলা: সৌন্দর্যায়নের বদলে এ ভাবেই আগাছায় ঢেকেছে। নিজস্ব চিত্র

গাছ এবং মাটি-সহ লোহার একটি টবের ওজন টন খানেক। পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্যায়নে এমন শ'দেড়েক টব বসানো হয়েছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরেই ভার বৃদ্ধির আশঙ্কায় পরে তা নামিয়ে রাখা হয় বাইপাসের ধারে সায়েন্স সিটির কাছে।

অবহেলায় পড়ে থাকা ওই সব টবই এখন কার্যত পরিবেশের বোঝা হয়ে উঠেছে। টাইলস বাঁধানো ফুটপাতে ফেলে রাখা টব থেকে আগাছা উপচে পড়ছে। কোথাও আবার আগাছার ঢেকে দিয়েছে ফুটপাত। বৃষ্টিতে জল জমে সেগুলিই এখন মশার আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে। বাইপাস সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ পথ থেকে সায়েন্স সিটির দিকে কিছুটা এগোতেই চোখে পড়বে সার দিয়ে রাস্তার ধারে বাসানো ধাতব টব।

বছর দুয়েক আগে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সৌন্দর্যায়নে ফুটপাত এবং মূল সেতুর সংযোগকারী অ্যাপ্রোচ রোডে ওই টবগুলি কেএমডিএ-র উদ্যোগে বসানো হয়েছিল। শহরের সেতুগুলির স্বাস্থ্য যাচাই শুরু হতেই কয়েক শ'টনের বাড়তি বোঝা চাপানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেতু বিশেষজ্ঞেরা। এ ভাবে ধাতব টব রাখায় সেতুর ডেড-লোড (নিজস্ব ভার) বাড়ছে বলেও জানানো হয়।

এর পরেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কায় ওই টবগুলিকে তড়িঘড়ি সারানোর নির্দেশ দেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তখনকার মতো টবগুলি সরিয়ে বাইপাসের সায়েন্স সিটির কাছে এনে জমা করা হয়। এর পর থেকে অবশ্য ওই টব নিয়ে প্রশাসনিক মহলে কোনও খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। শহরের অসংখ্য বড় রাস্তার ডিভাইডার বা ফুটপাতে গাছ-সহ টবগুলি রেখে কাজে লাগানোর কোনও চেষ্টাও প্রশাসনের তরফে হয়নি বলে অভিযোগ।

এমনকি এক বছরের বেশি সময় ধরে টবগুলি ওখানে পড়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ যে হয়নি, তা দেখলেই বোঝা যায়। অথচ এই বাইপাসের অজয়নগর এবং মুকুন্দপুরের একাংশ কেএমডিএ-র তরফে গাছ লাগিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এত খরচ করে তৈরি এক একটি টব কেন কাজে লাগানো গেল না? উঠছে সেই প্রশ্নও।

কমবেশি ১৭০টির কাছাকাছি বড় আকারের টবে যে ভাবে জঞ্জাল এবং আগাছা জন্মেছে, তাতে ওই জায়গা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ডেঙ্গির মশার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা।

এ সম্পর্কে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের এক আধিকরারিক বলেন, ‘‘সেতু থেকে অতিরিক্ত ভার কমাতে টবগুলি সরানো হয়েছিল।’’ পরেবর্তীকালে টবগুলি কী অবস্থা আছে, সে সম্পর্কে ওই আধিকারিক উত্তর দিতে পারেননি।

Environment Pollution Science City
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy