স্কুলে নীল-সাদা পোশাক নিয়ে মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
স্কুলে নীল-সাদা ইউনিফর্ম নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই বলে দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর যুক্তি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও পড়ুয়াদের পোশাকের রং পরিবর্তন করেছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে ব্রাত্য বলেন, ‘‘গুজরাত এবং অসম সরকার আগেই পোশাকের (স্কুলের) রং পরিবর্তন করেছে।’’
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্কুলে নীল-সাদা ইউনিফর্ম প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের পোশাকের রং বদলানো অনেকে মানতে পারছেন না। এর পর ব্রাত্যের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘স্কুলের পোশাককে আগের অবস্থায় কি ফেরানো যাবে?’’ উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘গুজরাত, অসম সরকার আগেই তাদের রাজ্যে (স্কুল) পোশাকের রং পরিবর্তন করেছে।’’ তবে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ক্ষেত্রে পোশাকের রং পরিবর্তন হয়নি বলে জানান ব্রাত্য। শুধুমাত্র সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ক্ষেত্রে ইউনিফর্ম পরিবর্তন হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগস্টেই সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে নীল-সাদা পোশাক দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। সেই কাজে গতি আনতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি চালানও পাঠানো হয়েছে। কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাকের রং হবে নীল-সাদা। ওই পোশাকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো। গত মার্চ মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
অবশ্য পরে এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। রাজ্যের সমস্ত স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাক নীল-সাদা হয়ে গেলে স্কুলগুলি তাদের নিজস্ব রংয়ের পোশাকের বৈশিষ্ট্য হারাবে বলে আগেই সরব হয়েছেন অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও সরকারি পক্ষের জবাব ছিল, প্রত্যেক রাজ্যের স্কুলের একটি নির্দিষ্ট পোশাক বা ইউনিফর্ম রয়েছে। বাংলার স্কুলগুলিতেও যদি একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম হয়, তা হলে ভুল কোথায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy