E-Paper

বেপরোয়া গতিতে লাগাম টানতে ‘স্পিড ডিটেকশন’ ক্যামেরা এ বার জেলাতেও

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বেছে নিয়ে ওই ক্যামেরা বসানো হবে। ওই ক্যামেরার সঙ্গেই গতি মাপার যন্ত্র রয়েছে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ০৯:৫৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জেলার বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তায় এ বার বেপরোয়া গতিতে রাশ টানতে চাইছে পুলিশ। এর জন্য জেলার বিভিন্ন সড়কে বসতে চলেছে স্বয়ংক্রিয় ‘স্পিড ভায়োলেশন ডিটেকশন ক্যামেরা’। যা নিজে থেকেই নির্দিষ্ট গতির বাইরে চলা গাড়িকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আপাতত কমিশনারেট এলাকা বাদ দিয়ে জেলাগুলিকে ৩০টিরও বেশি ওই বিশেষ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও ৩০টি ক্যামেরা দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশ এলাকা-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কাছে ওই ‘স্পিড ভায়োলেশন ডিটেকশন ক্যামরা’ থাকলেও জেলা পুলিশের কাছে তা ছিল না।যার ফলে কেউ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত না। তবে কোনও কোনও জায়গায় স্পিড গান ব্যবহার করে বেপরোয়া গতির গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বেছে নিয়ে ওই ক্যামেরা বসানো হবে। ওই ক্যামেরার সঙ্গেই গতি মাপার যন্ত্র রয়েছে। নির্দিষ্ট গতির বেশি গতিতে গাড়ি চালালে সেই গাড়ির নম্বর-সহ কতকিলোমিটার গতিতে তা চলছে, সেটি রেকর্ড হয়ে যাবে ওই ক্যামেরায়। ক্যামেরার সার্ভার থাকছে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। সেখান থেকে গাড়ির নম্বরের মালিকের কাছে পৌঁছে যাবে একটি এসএমএস বা মেসেজ। যাতে ছবি-সহ গাড়িটি কখন, কোথায়, কত গতিতে আইনভঙ্গ করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে। মেসেজে থাকা লিঙ্ক ক্লিক করলেই ছবি চলে আসবে অভিযুক্তের মোবাইলে। যে কোনও ছোট, বড় গাড়ি-সহ মোটরবাইকও ট্র্যাফিক পুলিশের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত গতি লঙ্ঘন করলে ওই ক্যামেরায় ধরা পড়ে যাবে।

রাজ্য পুলিশকর্তাদের দাবি, রাজ্য এবং জেলা সড়কে বিভিন্ন জায়গাতেই বেপরোয়া গতিতে গাড়িচালানোর অভিযোগ রয়েছে। দিনের বেলায় ট্র্যাফিক পুলিশের দ্বারা বেপরোয়া গতির গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও রাতের দিকে ট্র্যাফিক পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন জাতীয় এবংরাজ্য সড়কে চলা গাড়িচালকদের একাংশ। এ বার সেই বেপরোয়া গতি রোখার জন্যই ওই ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।

এক পুলিশকর্তা জানান, ওই ব্যবস্থা কার্যকর হলে বেপরোয়া মোটরবাইক এবং গাড়ির গতি রুখে দেওয়া সহজ হবে। সেই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওই অভিযুক্ত গাড়িকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhabani Bhawan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy