বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বেশি সময়ের আবেদন

পূর্ব কলকাতা জলাভূমি দখল করে থাকা বেআইনি নির্মাণ সরাতে সময়ের প্রয়োজন, সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে জানালেন জলাভূমি কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আইনজীবীর দাবি, বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিতকরণ, নথিপত্র যাচাই এবং সেই নির্মাণ ভাঙা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। পরিকাঠামোগত অভাবের জন্য আরও সময় লেগে যাচ্ছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহ পাল্টা বলেন, ‘‘জলাভূমি পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ করতে বেশি দেরি হলে এক দিকে পুরনো বেআইনি নির্মাণ ভাঙবেন এবং অন্য দিকে নতুন করে বেআইনি নির্মাণ করা হবে। রাজ্য প্রশাসনের ও কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয়ে নির্মাণ ভাঙার উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পদক্ষেপ করুন, যাতে অযথা দেরি না হয়।’’

আগের নির্দেশ মতো এ দিন ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন জলাভূমি কর্তৃপক্ষের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও)। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট ছক আকারে জমা দেন জলাভূমি কর্তৃপক্ষের আইনজীবী। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, ‘‘বড় নির্মাণ রয়েছে, গুদাম রয়েছে, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার কারখানা রয়েছে, আপনারা কোনও পদক্ষেপ করছেন না।’’ কর্তৃপক্ষের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, বেআইনি নির্মাণকারীদের নোটিস দেওয়া হলেও শুনানিতে কেউ আসেন না। সম্প্রতি শুনানি না হওয়ায় একটি নির্মাণ ভাঙার উপরে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবী আরও দাবি করেন, কলকাতা পুরসভা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বেআইনি নির্মাণের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন, নতুন বেআইনি নির্মাণ করা হয়নি, তবে পুরনো নির্মাণ ভাঙতে সময় লাগছে। তা শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এই সব নির্মাণের কোনও অনুমোদন নেই এবং এতে অনেক টাকার লেনদেন জড়িত। তবে কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম সক্রিয় হলে অনুঘটকের কাজ করতে পারে আদালত। আর যদি রাজ্য প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকে, সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে সাহায্যের নির্দেশ দেবে আদালত।’’ জলাভূমি পুনরুদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় আদালত। ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরে আগামী ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।