গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অর্চনা পালংদার খুনের রহস্য আরও ঘনীভূত হল। তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। উল্টোডাঙার গৃহবধূ অর্চনা এবং তাঁর প্রেমিক বলরাম কেশরীর দেহ ধর্মতলা চত্বরের হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একটি অ্যাপ-ক্যাবে করে। ক্যাবের চালক আবার ওই হোটেলের ম্যানেজার হরিহর যাদবের ভাই। বৃহস্পতিবার সেই চালক বিজয় যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তদন্তে আগেই জানা গিয়েছিল, দেহ লোপাটের ঘটনায় হোটেলের কর্মীরা যুক্ত ছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় অস্থায়ী কর্মী আশিস যাদবকে। তাঁকে জেরা করে আরও দু’জন কর্মীর নাম জানা যায়। তাদের মধ্যে একজন হোটেলের ম্যানেজার হরিহর যাদব, অন্যজন জয়দেব মাহাত। ওই দু’জন এখনও অধরা।
তবে হরিহরের ভাই বিজয় যাদব গ্রেফতার হওয়ার পর আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: হোটেল ম্যানেজারের ভাইয়ের গাড়িতে পাচার হয়েছিল অর্চনা-বলরামের দেহ! ধৃত সেই চালক
তদন্তের জাল খুলতে গিয়েও কোন জায়গায় আটকে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা—
১) কেন এত ঝুঁকি নিয়ে হোটেল কর্মী, ম্যানেজার এবং তার ভাই দু’টি দেহ লোপাট করতে গেল? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২) বলরাম যদি অর্চনাকে খুন করে আত্মঘাতীও হন, তাহলে এমনকি প্রয়োজন পড়ল যে,পুলিশকে খবর না দিয়ে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেহ লোপাট করতে হল?
৩) হোটেলে কেউ মারা গেলে বা খুন হলে, তা নিয়ে হোটেলের মালিকের মাথা ব্যথা হওয়ার কথা। মালিককে বিষয়টি না জানিয়ে, হোটেলের কর্মী এবং ম্যানেজার কেন এত বড় ঝুঁকি নিতে যাবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy