কোথাও যাত্রী ছাউনি রয়েছে, কিন্তু যাত্রী নেই। কারণ, সেখানে বাস দাঁড়ায় না। কোথাও আবার বাস দাঁড়ালেও যাত্রী ছাউনি নেই। কোথাও যাত্রী ছাউনির জীর্ণ অবস্থা। সব মিলিয়ে সল্টলেকে যাত্রী ছাউনির বিন্যাসে সমতা নেই। নেই পরিকল্পনার ছাপও। এমনই অভিযোগ বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের।
সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার সল্টলেকের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে যাত্রী ছাউনি তৈরির কাজ হচ্ছিল। কিন্তু অনুমোদন না থাকায় কাজ আটকে দেয় পুরসভা। এর পরে যাত্রী ছাউনি নিয়ে বিতর্ক সামনে আসে।
বাসিন্দাদের দাবি, পুরবোর্ড সার্বিক সুসংহত পরিকল্পনা করুক। যত্রতত্র নয়, পরিকল্পনা মাফিক যাত্রী ছাউনি এবং রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে। অনেক জায়গায় যাত্রী ছাউনি না থাকায় গরমে বা বর্ষায় সমস্যা হয়।
অভিযোগের সারবত্তা যে রয়েছে, সল্টলেকে তার প্রমাণ মিলেছে। যেমন, সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়। মেট্রো প্রকল্পের জন্য এই চারমাথার মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের নতুন ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। চার দিকেই রয়েছে যাত্রী ছাউনি। কিন্তু সেখানে বাস দাঁড়ায় না। আবার পিএনবি মোড়ের যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে যাত্রীদের সমস্যা বাড়বে বলেই অভিযোগ। একই অবস্থা নেতাজি মূর্তি থেকে বেলেঘাটা বাইপাস মোড় পর্যন্ত রাস্তায়ও।
পাশাপাশি যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে রাস্তার মোড়ের কাছেই যাত্রী ছাউনি তৈরি হচ্ছে। সেখানে বাস দাঁড়ালে তৈরি হচ্ছে যানজট। স্থানীয় বাসিন্দা বিধান বসু বলেন, ‘‘কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ছাউনিগুলি। ফলে সমস্যা মেটার বদলে বেড়েই চলেছে।’’
কাউন্সিলরদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের ওয়ার্ডে কতগুলি যাত্রী ছাউনি প্রয়োজন, সে বিষয়ে পুরসভায় জানিয়েছেন। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, পুরসভার সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুলিশের তরফে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘কাউন্সিলররা তাঁদের ওয়ার্ডে যাত্রী ছাউনির জন্য আবেদন করছেন। সেই তালিকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যত্রতত্র নয়, পরিকল্পনামাফিক যাত্রীছাউনি তৈরি করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy