সম্বুদ্ধ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিন মূলত ঘরের লাগোয়া শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খোলা হয়েছিল আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতাল চত্বরে থাকা প্লে-স্কুলটির ‘হাইড্রোথেরাপি’র (বিশেষ এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি) জলাধারের ঘর। স্কুল চত্বরে জলে ডুবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু সম্বুদ্ধ ঘোষের মৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। তবে কে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বা বন্ধ ঘরটির তালাই বা কে খুলেছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই দিন স্কুলে কারা উপস্থিত ছিলেন জানতে চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নামের তালিকাও সোমবার পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। আধিকারিকদের ধারণা, ওই তালিকা ধরে সে দিন উপস্থিত কর্মী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যাবে, কে বন্ধ ঘরের তালা খুলেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম দফায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা শুরু হয়েছে। এর পরে স্কুলের কর্মী এবং অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তালিকা হাতে এলে চলতি সপ্তাহেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।
গত বুধবার স্কুল চত্বরে ‘হাইড্রোথেরাপি’র জলাধারে ডুবে মৃত্যু হয় সম্বুদ্ধের। স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তার মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সম্বুদ্ধের মা-বাবা। স্কুলের প্রিন্সিপাল-সহ তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সম্বুদ্ধের বাবা। ঘটনার পর থেকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিদিন স্কুলের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। সোমবারও সেখানে হয়েছে নীরব প্রতিবাদ।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে ‘হাইড্রোথেরাপি’ ঘরে থাকা চৌবাচ্চার জলের ফরেন্সিক করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিষক্রিয়ায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে কি না জানতেই এমন সিদ্ধান্ত। এর জন্য চৌবাচ্চার জলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে চিকিৎসকদের অনুমান, জলে ডুবে মারা গিয়েছে সম্বুদ্ধ। তবে তার ভিসেরাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আজ ,মঙ্গলবার বিকেলে আলিপুর গোপালনগর মোড় থেকে আলিপুর থানা পর্যন্ত মৌন মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy