গড়িমসি: এই রেকই পড়ে রয়েছে কারশেডে।
হাতে নতুন রেক পেয়েও চালাতে পারছে মেট্রো! শুধু নতুন রেক নয়, দীর্ঘদিন ধরে খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে দমদমের একটি চলমান সিঁড়িও।
মেট্রো সূত্রে খবর, দেখতে দেখতে চার-পাঁচ মাস পেরিয়ে গেল, নতুন একটি রেক এসে পড়েই রয়েছে নোয়াপাড়া কারশেডে। মেট্রোর রেকগুলির এত খারাপ অবস্থা হওয়ার পরেও নতুন রেকটিকে কাজে না লাগানোয় ক্ষোভ ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যেও। অনেকেরই বক্তব্য, নতুন এই রেকটি এতদিন ধরে বসিয়ে রাখার মানেই হল, ট্রেনটিতে এমন কোনও গোলমাল রয়েছে, যার জন্য যাত্রী নিয়ে চালাতে সাহস পাচ্ছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও মেট্রো কর্তারা বলছেন, যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি চূড়ান্ত করার পরে তবেই চালানো হবে নতুন রেক। কিন্তু কত দিন লাগতে পারে নতুন রেকে যাত্রী সুরক্ষা ঠিকমতো আছে কি না তা দেখতে? এর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কর্তারা।
এমনিতেই মেট্রোর বহু রেকের আয়ু প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোনও রকমে জোর করেই চালানো হচ্ছে সাধারণ রেকগুলি। যে ক’টি বাতানুকূল রেক রয়েছে, সেগুলিও পরীক্ষামূলক। যে কোনও দিন সেগুলিও বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মেট্রোর কর্তাদেরই একাংশ। এমন অবস্থায় নতুন একটি রেক পেয়েও কেন সেটি চালানোর ব্যবস্থা হচ্ছে না, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে মেট্রোর অন্দরেই।
অগস্টে চলমান সিঁড়ি চালু হবে বলে দেওয়া সেই পোস্টার। দমদমে।
মেট্রো কর্মীদের একাংশ বলছেন, এই রেকে নিশ্চই কোনও ত্রুটি রয়েছে। তাই সেটিকে আর বাণিজ্যিক ভাবে চালানো হচ্ছে না। আর এক পক্ষ বলছেন, যে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি হয়ে এসেছে এই রেক, তা সড়গড় না হওয়াতেই বেড়েছে বিপত্তি।
একই অবস্থা দমদমের চলমান সিঁড়িটিরও। খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেটিও খোলা অবস্থায় পড়ে গত আট মাস ধরে। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নানা রকম যুক্তি দিচ্ছেন মেট্রো কতৃর্পক্ষ। ২০১৭ সালের ১৪ অগস্ট সিঁড়িটি চালু করা হবে বলে পোস্টারে লিখে জানিয়েছিল মেট্রো। কিন্তু তা হয়নি। সকাল-সন্ধ্যায় তার ধার-কাছে মেরামতির জন্য কোনও কর্মীরও দেখা মেলে না। অথচ মেট্রোর দাবি, সেটিকে নাকি আপাদমস্তক মেরামত করা হচ্ছে। এ দিকে, সেই মেরামতির কাজ কবে শেষ হবে সেটা জানেন না মেট্রো কতৃর্পক্ষ।
নতুন রেক প্রসঙ্গে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকর্তা বলছেন, ‘‘যেহেতু নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, তাই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে রেকটি যাত্রীদের জন্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরীক্ষার কাজ চলছে।’’ পাশাপাশি দমদমের সিঁড়ি নিয়েও তাঁর বক্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ খুলে সিঁড়িটি মেরামতের কাজ চলছে। তাই একটু সময় লাগছে।’’
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy