সহাস্যে: নিজের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সই-শিকারীদের মাঝে উইলিয়াম ডালরিম্পল। রবিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
তিনি যেন হেঁটে বেড়ালেন ‘কবেকার কলকাতা শহরে’র পথে। রবিবার সন্ধ্যা। শহরের একটি ক্লাবে কলকাতা লিটারারি মিট-এর আসর। সেখানেই তাঁর সদ্য প্রকাশিত বই ‘দ্য অ্যানার্কি’ নিয়ে কথা বলছিলেন উইলিয়ম ডালরিম্পল।
স্কটিশ ইতিহাসবিদ-লেখকের ধমনীতে বহমান ভারত প্রত্যাগত শ্বেতাঙ্গ রাজপুরুষদের রক্ত। তাঁর চেতনাতেও মিশে রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ ঘিরে তুমুল আগ্রহ। রবিবার এ শহরে দাঁড়িয়ে শতাধিক বছরের সাবেক বাড়ি বাঁচিয়ে রাখার জন্য সওয়াল করে গেলেন ডালরিম্পল। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁর আক্ষেপ, ‘‘বেশির ভাগ দেশেই একশো বছরের পুরনো বাড়িগুলি ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও অটুট রাখার চেষ্টা হয়। ঐতিহ্য বাড়ির হদিস মিললে দয়া করে ভেঙে শপিংমল গড়তে যাবেন না।’’
প্রাচীন শহরের আখ্যান আগেও ঘুরে ফিরে এসেছে ডালরিম্পলের লেখায়। ‘সিটি অব জিনস: আ ইয়ার ইন দিল্লি’ বইয়ের লেখক আগে এতটা খুঁটিয়ে লেখেননি কলকাতার কথা। ‘অ্যানার্কি’ বইটি কোম্পানির শাসনের গল্প বলছে সবিস্তার, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির শোষণের কথাও। সেই সূত্রে এ বারের আখ্যানে কলকাতার কথা উঠে আসছে কিছুটা অনিবার্য ভাবেই।
ডালরিম্পল বলেছেন, দমদমে তাঁর ক্লাইভের বাড়ি দেখতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও ঘুরেছেন তিনি। আর ঘুরেছেন চৌরঙ্গির অলিগলিতে, যার দেহে মিশে রয়েছে কলকাতার কয়েকটি শতক। আবার সোৎসাহে উত্তর কলকাতার বনেদি পাড়া, সাবেক দুর্গাপুজোর কথাও শুনিয়েছেন ইতিহাসকার। পুরনো দিল্লির মতো কলকাতার অতীত-সেতু রক্ষা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডালরিম্পল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy