Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অবসাদেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন বধূ, বলছে পুলিশ

রবিবার বিকেলে কাঁকুড়গাছির এক আবাসনের ১৬ তলা থেকে বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা ঝাঁপ দেন বলে পুলিশের দাবি। তিনি সটান নীচে একটি গাড়ির উপরে পড়েন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:০০
Share: Save:

মানসিক অবসাদজনিত কারণেই কাঁকুড়গাছির নবনির্মিত আবাসনের বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক গৃহবধূ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

রবিবার বিকেলে কাঁকুড়গাছির এক আবাসনের ১৬ তলা থেকে বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা ঝাঁপ দেন বলে পুলিশের দাবি। তিনি সটান নীচে একটি গাড়ির উপরে পড়েন। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। তিনি এখন ই এম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই মহিলার দেহে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর।

আদতে বিহারের মজফ্‌ফরপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা বছর আটেক আগে বিয়ের পরে ফুলবাগানে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি বিয়ের আগে থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতেন। এর জন্য তিনি নিয়মিত ওষুধও খেতেন। আগেও ওই মহিলা একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর ছ’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, রবিবার বিকেলে কাঁকুড়গাছির ওই বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে গৃহপ্রবেশ ছিল। সেই উপলক্ষে বহু মানুষ যাওয়া-আসা করছিলেন। সেই ফাঁকে ওই গৃহবধূও সোজা বহুতলের ছাদে উঠে পড়েন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মজফ্‌ফরপুর থেকে সোমবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছন ওই মহিলার বাবা। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। সোমবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

মানসিক অবসাদজনিত কারণে আত্মহত্যার বা আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নতুন নয়। অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ দিন ধরে ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও ওই মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা প্রসঙ্গে মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যালের ব্যাখ্যা, ‘‘মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি রোগীর নিয়মিত কাউন্সেলিং করানো জরুরি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Myeterious Death Suicide Kankurgachi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE