E-Paper

নির্মীয়মাণ বহুতলের তেতলা থেকে পড়ে মৃত শ্রমিক

তদন্তকারীদের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তেতলার রেলিংহীন বারান্দার সামনে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিঠুন পড়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন ছুটে আসেন মিঠুনের কাকা হারান মণ্ডল-সহ অন্য আত্মীয়েরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩৩
নির্মীয়মাণ বহুতলের পাশে এই জায়গাতেই উদ্ধার হয় মিঠুনের দেহ। মঙ্গলবার, কাশীপুরে।

নির্মীয়মাণ বহুতলের পাশে এই জায়গাতেই উদ্ধার হয় মিঠুনের দেহ। মঙ্গলবার, কাশীপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের তেতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একযুবকের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার কাশীপুরের কাশীশ্বর চ্যাটার্জি লেনে। মৃতের নাম মিঠুন মণ্ডল (২৭)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমগাছিয়ায়। ওই নির্মীয়মাণ বহুতলটিতে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই বহুতলের পাশে উপুড় হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মিঠুনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।নির্মীয়মাণ বহুতলটিতে কাজ করা আর এক শ্রমিক রনি মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি ভোরে রান্না করতেউঠেছিলাম। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ দোতলার জানলা দিয়ে জল ফেলতে গিয়ে দেখি, এক জনের দেহ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। তখনসবাইকে ডাকি। পুলিশেও খবরদেওয়া হয়।’’ ওই শ্রমিকের কথায়, ‘‘মিঠুনের সঙ্গে সোমবার রাতেযিনি ছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, মিঠুন অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন।’’

মিঠুন মণ্ডল।

মিঠুন মণ্ডল।

তদন্তকারীদের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তেতলার রেলিংহীন বারান্দার সামনে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েমিঠুন পড়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন ছুটে আসেন মিঠুনের কাকা হারান মণ্ডল-সহ অন্য আত্মীয়েরা। হারান বলেন, ‘‘ভাইপো খুব নেশাকরত। অনেক বার বারণ করেছিলাম।’’ হারান জানান, এক সপ্তাহ ধরেতিনি ও মিঠুন ওই নির্মীয়মাণ বহুতলে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করছিলেন। রবিবার হারান বাড়ি গিয়েছিলেন।এ দিন সকালেই তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। তার আগেই মিঠুনের মৃত্যুর খবর পৌঁছয় তাঁদের বাড়িতে।

ঘটনার খবর পেয়ে আসেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মাঝরাতে। রনি বলেন, ‘‘আমরা সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘুমোতে গিয়েছিলাম।তখনও পর্যন্ত কিছু হয়নি।’’ কাশীপুর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Case Kashipur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy