Advertisement
E-Paper

গাছকে দত্তক নেওয়া যাবে রবীন্দ্র সরোবরে

এ দিন ‘গাছ বাঁচানোর’ আবেদন লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে কেএমডিএ-র আধিকারিকদের সঙ্গে পা মেলালেন রবীন্দ্র সরোবর মর্নিং ওয়াকার্স-এর সদস্যরা, সাধারণ মানুষ, পড়ুয়া-সহ প্রায় পাঁচশো জন। বরোজ রোডের সামনে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার বড় গেট থেকে পদযাত্রা শুরু করে সেটি শেষ হয় নজরুল মঞ্চে পৌঁছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:১৩
উদ্যোগ: গাছ বাঁচানোর আবেদন নিয়ে শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ

উদ্যোগ: গাছ বাঁচানোর আবেদন নিয়ে শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ

অভিযোগ নয়, গাছ নিয়ে পরামর্শ দিন। পাশে থাকুন। চাইলে সামান্য অর্থ দিয়ে গাছ দত্তকও নিতে পারেন। এই আবেদন জানিয়ে শনিবারের সকালটা শুরু করল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন কেএমডিএ। রবীন্দ্র সরোবরে গাছ বিতর্কে জেরবার কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের এটি নতুন প্রচেষ্টা। এর জন্য তৈরি হচ্ছে ‘তরু মিত্র’ নামের একটি ইকো ক্লাব।

এ দিন ‘গাছ বাঁচানোর’ আবেদন লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে কেএমডিএ-র আধিকারিকদের সঙ্গে পা মেলালেন রবীন্দ্র সরোবর মর্নিং ওয়াকার্স-এর সদস্যরা, সাধারণ মানুষ, পড়ুয়া-সহ প্রায় পাঁচশো জন। বরোজ রোডের সামনে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার বড় গেট থেকে পদযাত্রা শুরু করে সেটি শেষ হয় নজরুল মঞ্চে পৌঁছে। সেখানেই সদস্যপদের জন্য ফর্ম বিলি করা হয় এ দিন।

আরও পড়ুন: ‘সাবমেরিন’ বাঁচাতে পুলিশি ব্যবস্থা জগৎ মুখার্জি পার্কে

কেএমডিএ সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রবীন্দ্র সরোবরের গাছ সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ আসছিল। তার সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব একমাত্র মিলেমিশে কাজের মাধ্যমে। তাই এই উদ্যোগ। ১৯২ একর জায়গা জুড়ে থাকা রবীন্দ্র সরোবরের ১১৯ একর স্থল ভাগ। বাকি অংশ জল। জিলাবি, বকুল, চাঁপা, সবেদা, অশোক, বাক্স-বাদাম, আম, জাম, জামরুল, লিচু, কাঁঠাল, বাবলা, ছাতিম, শিরিষ, শাল, পলাশ, নারকেল, বোতল-বাঁশ, জিয়ল, নাগকেশর এমনকী সুন্দরীর মতো গাছও আছে রবীন্দ্র সরোবরে।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, ১৩১টি প্রজাতির বড় গাছ-সহ অসংখ্য গাছ আছে এই সরোবরে। ‘তরু মিত্র’ ক্লাবের সদস্যরা ইচ্ছে করলে পছন্দ মতো গাছ বেছে নিয়ে দত্তক নিতেও পারবেন এক বছরের জন্য। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে তাঁরা এক বছরের জন্য গাছ দেখভাল করার পাশাপাশি গাছের যে কোনও সমস্যার কথা কেএমডিএকে জানাতে পারবেন। কেএমডিএ-র পরামর্শ নিয়ে মানুষ গাছ রোপণ করতে পারবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট সংস্থাও গাছ দত্তক নিতে পারবে।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নিয়মিত সরোবরে আসা সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানান, এতে দোষারোপের পালা শেষ হবে। এক সঙ্গে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হবে। আমরাও শুধু অভিযোগ জানিয়েই দায়িত্ব সারব না। আমাদেরও দায় থাকবে।

Rabindra Sarobar Tree Adopt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy