Advertisement
E-Paper

ছ’টি কার্ডে ১৪ লক্ষ টাকা উধাও, ধৃত পাঁচ

অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে চোখ কপালে পুলিশের! বাড়িতে রীতিমতো জাল নথির কারখানা বানিয়েছে সে। ছবি, নথি তো কোন ছার, রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার হলোগ্রামও। সম্প্রতি এক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ০১:২৪

অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে চোখ কপালে পুলিশের! বাড়িতে রীতিমতো জাল নথির কারখানা বানিয়েছে সে। ছবি, নথি তো কোন ছার, রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার হলোগ্রামও। সম্প্রতি এক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, এই ঘটনায় দেবরাজ বিশ্বাস, পিন্টু গুপ্ত, নিলয় কুণ্ডু, পিন্টু চাকী ও সোমেন দোরজি নামে পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। দেবরাজের বাড়ি থেকে পেন ড্রাইভ, জাল নথি বানানোর যন্ত্র ও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে নিলয়, পিন্টু ও সোমেন অন্য জালিয়াতির মামলায় জেল হাজতে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বহুজাতিক ব্যাঙ্কের তরফে শেক্সপিয়র সরণি থানায় ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে বলা হয়, আর জি কর হাসপাতালের এক কর্মীর নামে ৬টি ক্রেডিট কার্ড নেওয়া হয়েছিল। তা দিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা হাতানো হয়। পরে জানা যায়, ওই নামে আর জি কর হাসপাতালে কেউ নেই।

তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের ছবি খুঁজে পায়। তাতে দেখা যায়, মাস কয়েক আগে কার্ড জালিয়াতি করে ইন্টারনেটে সোনার মুদ্রা কিনেছিল কয়েক জন। সেই ঘটনায় ধৃত তিন জনের (নিলয়, পিন্টু ও সোমেন) সঙ্গে এই ঘটনার তিন অভিযুক্তের ছবি মিলে যাচ্ছে। তার ভিত্তিতেই জেল থেকে এনে তাদের জেরা করা হয়। তাদের থেকেই বাকি দু’জনের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।

গোয়েন্দারা জেনেছেন, সোমেন একটি ক্যুরিয়র সংস্থার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করত। সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমেই ক্রেডিট কার্ড ডেলিভারি করা হত। ধৃতেরা ব্যারাকপুরের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা দিয়েছিল। ওই ঠিকানায় কার্ড এলেই তা অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে দিত সোমেন।

credit card forgery arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy