একটি বাণিজ্য সংস্থার পাওনা কয়েক লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য পোস্তায় গিয়েছিলেন এক যুবক কর্মী। টাকা পেয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু আর অফিসে ফেরা হয়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে গভীর রাতে হাওড়া স্টেশন চত্বরে তাঁর মোটরবাইকটি পাওয়া যায়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি বালির বাসিন্দা, বছর বাইশের ওই যুবকের।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ যুবকের নাম বিকাশ অগ্রবাল। বালির কৈলাস ব্যানার্জি লেনে ভাড়ার বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। বেলুড়ের বজরংবলীতে লোহা মার্কেটে এক ব্যবসায়ীর অফিসে কাজ করেন। মাস তিনেক আগে ওই যুবক চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ সাইকেল নিয়ে বিকাশ অফিসে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অফিস থেকে তাঁর আত্মীয়দের ফোন করে অন্তর্ধানের বিষয়টি জানানো হয়।
বিকাশের অফিসের মালিক পাপ্পু মিত্তল পুলিশকে জানান, ওই দিন দুপুরে সংস্থার পাওনা প্রায় চার লক্ষ টাকা আনতে ওই যুবক মোটরবাইক নিয়ে পোস্তায় গিয়েছিলেন। টাকা আদায়ের পরে পাপ্পুর সঙ্গে বিকাশের কথাও হয়। কিন্তু বেলা ২টোর পর থেকে ওই যুবকের মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। রাতে বেলুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরে পোস্তা থানাতেও অভিযোগ দায়ের করে ফেরার পথে হাওড়া স্টেশন চত্বরে মোটরবাইকটি পড়ে থাকতে দেখেন পাপ্পু এবং তাঁর সঙ্গীরা।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এক সপ্তাহ আগে দুর্গাপুরের এক দল ছেলের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে বিকাশের গোলমাল বেধেছিল। হাওড়া স্টেশন চত্বর এলাকার একটি দোকানের কর্মীর সূত্রেই দুর্গাপুরের ওই যুবকদের সঙ্গে পরিচয় হয় বিকাশের। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে ওই গোলমালের যোগসূত্র আছে কি না, পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, যুবকটি কী ভাবে নিখোঁজ হলেন, তাঁর মোটরবাইকটি কী করে স্টেশন-চত্বরে গেল, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ওই যুবকদের সঙ্গে ঠিক কী কারণে বিকাশের গোলমাল বেধেছিল, তা-ও দেখা হচ্ছে। বিকাশের সঙ্গে মোবাইলে শেষ যোগাযোগের সময় তিনি কোথায় থাকতে পারেন, টাওয়ার লোকেশন দেখে তা জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy