‘পালাতে গিয়ে পাঁচিল থেকে পড়ে পা ভেঙে গিয়েছে। আড়াই নম্বর গেটের কাছে আছি। আমাকে এসে উদ্ধার কর তোরা।’ এক ডাকাত ফোন করতেই দুই স্যাঙাত এসে হাজির। পালানো অবশ্য হয়নি কারওরই। পুলিশের জালে ফেঁসে তিন জনকেই সোজা যেতে হয়েছে শ্রীঘরে।
রবিবার শেষ রাতে মহাজাতিনগরে একটি বাড়িতে ডাকাতির আধ ঘণ্টার মধ্যেই তিন ডাকাতকে পাকড়াও করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। প্রথম ডাকাত ধরা পড়ার পরে তাকে দিয়েই ফোন করানো হয় শাগরেদদের। বাকি দু’জন আসতেই বমাল ধরা হয় তাদেরও। পুলিশ জানায়, তাদের তৎপরতার পাশাপাশি লাগোয়া বাড়ির এক মহিলার উপস্থিত বুদ্ধিও প্রশংসার দাবি রাখে। পড়শি ওই মহিলাই রাতদুপুরে রাস্তায় সন্দেহজনক তিন জনকে দেখে ফোন করেন পুলিশে। এয়ারপোর্ট থানা তল্লাশি শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে প্রথম জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার তিন দুষ্কৃতী ডাকাতি করতে যায় মহাজাতিনগরের দিলীপকুমার সাহার ফ্ল্যাটে। বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। ফ্ল্যাটের নীচের তলায় নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় অবাধে দোতলায় উঠে যায় তিন জন। কোল্যাপ্সিবল গেটের তালা ভেঙে ঢুকে দিলীপবাবুর গলায় চপার ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, পাশের বাড়ির মহিলা তিন যুবককে পালাতে দেখে থানায় ফোন করেন।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তল্লাশি করতে গিয়ে এক যুবককে লুকিয়ে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করতেই সে ছুট দেয়। ধাওয়া করে তাকে ধরে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সে কবুল করে মহাজাতিনগরের ডাকাতিতে সে জড়িত।
পুলিশ জানায়, বিশু দাস নামে ওই দুষ্কৃতীকে দিয়েই ফোন করানো হয়। দুই স্যাঙাত তপন দাস ও বান্টি সাহার কাছ থেকে চুরি যাওয়া সব মালও উদ্ধার হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া সব কিছুই পাওয়া গিয়েছে।” পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের কাছে সোনার গয়না, হাতঘড়ি, ক্যামেরা ও সাড়ে দশ হাজার টাকা ও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy