Advertisement
E-Paper

ডেবিট কার্ড নকল করে টাকা চুরি, ধৃত

ডেবিট কার্ড নকল করে এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন যুবক। ধৃতদের নাম মহম্মদ আসিফ শেখ, ইমানুয়েল ওকপারা ওনিয়েকা এবং অ্যালান অ্যান্টনি ম্যাসকারিস। তারা সকলেই মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ইমানুয়েল ও অ্যালান আদতে নাইজিরীয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৪ ০১:১৫

ডেবিট কার্ড নকল করে এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন যুবক। ধৃতদের নাম মহম্মদ আসিফ শেখ, ইমানুয়েল ওকপারা ওনিয়েকা এবং অ্যালান অ্যান্টনি ম্যাসকারিস। তারা সকলেই মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ইমানুয়েল ও অ্যালান আদতে নাইজিরীয়। প্রায় একই ধরনের কার্ড জালিয়াতির (স্কিমিং) ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বছরখানেক আগে কলকাতা থেকে পাঁচ নাইজিরীয়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সৌমেন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, রাত ১২টার আগে ও পরে তিন দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মুম্বইয়ের এক এটিএম থেকে ওই টাকা তোলা হয়। মুম্বইয়ের ওই নির্দিষ্ট এটিএমেম গিয়ে সিসিটিভি থেকে অভিযুক্তদের ছবিও জোগাড় করেন গোয়েন্দারা।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১০ মার্চ মুম্বই পুলিশ ডেবিট কার্ড জালিয়াতি ও নকল করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে। লালবাজারের অফিসারেরা মুম্বই পুলিশের কাছে ধৃতদের ছবি চেয়ে পাঠালে এক অভিযুক্তের ছবি এটিএম থেকে তোলা ছবির সঙ্গে মিলে যায়। এর পরেই অভিযুক্তদের ১৪ দিনের রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, টাকা তোলার পুরো পরিকল্পনাই ছিল ইমালনুয়েলের।

সৌমেন্দ্রবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গত বছর মুম্বই যান। সেখানে ডেবিট কার্ডটি ব্যবহারও করেন। তখনই ওই কার্ডের তথ্য জালিয়াতদের হাতে চলে যায় বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার সময়ে একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে কার্ডের ভিতরের তথ্য (পিন কোড ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য) হাতানো হয়। পরে বিশেষ সফট্অয়্যারের মাধ্যমে সেই তথ্য একটি ব্ল্যাঙ্ক কার্ডে ভরে তৈরি করা হয় নকল কার্ড। বুধবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তদের কাছে ডেবিট কার্ড নকল করার মেশিন বা জাল ডেবিট কার্ড মেলেনি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”

debit card money theft
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy