Advertisement
E-Paper

দিনভর ঘুরে ট্যাক্সি ভাড়া না মিটিয়েই চম্পট যুবকের

বছর তিরিশের এক সুদর্শন যুবক এসে জানিয়েছিলেন, সোনারপুর যেতে চান। যাওয়ার পথে আরও কয়েকটি জায়গায় কাজ রয়েছে। বার বার নামতে হবে। তাই মিটারে নয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের চুক্তিতে যেতে চান তিনি। আর পাঁচ জন যাত্রীর মতো ভদ্রবেশের যুবককে দেখে কোনও সন্দেহ হয়নি ট্যাক্সিচালকের। তাই ২৫০০ টাকায় রফা করে সোনারপুর নিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন ট্যাংরার বাসিন্দা, সঞ্জয় পাসোয়ান নামে ওই ট্যাক্সিচালক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:১৩

বছর তিরিশের এক সুদর্শন যুবক এসে জানিয়েছিলেন, সোনারপুর যেতে চান। যাওয়ার পথে আরও কয়েকটি জায়গায় কাজ রয়েছে। বার বার নামতে হবে। তাই মিটারে নয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের চুক্তিতে যেতে চান তিনি। আর পাঁচ জন যাত্রীর মতো ভদ্রবেশের যুবককে দেখে কোনও সন্দেহ হয়নি ট্যাক্সিচালকের। তাই ২৫০০ টাকায় রফা করে সোনারপুর নিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন ট্যাংরার বাসিন্দা, সঞ্জয় পাসোয়ান নামে ওই ট্যাক্সিচালক। কিন্তু প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পরে ভাড়া বাবদ টাকা না দিয়েই পালিয়ে গেলেন ওই যাত্রী। শুক্রবারের ওই ঘটনায় হতবাক ট্যাক্সিচালক সন্ধ্যায় দ্বারস্থ হলেন পুলিশের।

ঠিক কী হয়েছিল? নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগে সঞ্জয় জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ট্যাক্সির লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎই জিন্স ও ফুলহাতা টি-শার্ট পরা এক যুবক এসে জানতে চান, চালক সোনারপুর যাবেন কি না। ওই যুবক আরও জানান, সোনারপুর যাওয়ার আগে আরও কয়েকটি জায়গায় কাজের জন্য দাঁড়াতে হবে। সঞ্জয় পুলিশকে জানিয়েছেন, ভদ্র-নম্র স্বভাবের ওই যুবকের ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি ছিল ও বাঁ দিকের চোখের নীচে কালশিটে ছিল। লম্বা দূরত্বে যেতে হবে বলে সঞ্জয় ৩০০০ টাকা চাইলেও, পরে ২৫০০ টাকায় রফা হয়।

সঞ্জয় আরও জানান, শিয়ালদহ থেকে প্রথমে ওই যুবক আন্দুল রোড হয়ে নিউ মার্কেট এবং সোনারপুর পৌঁছে একটি বাড়িতে বয়স্কা এক মহিলা এবং এক তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে যান সোনারপুরের ঘোষপাড়ায় একটি সেলুনে। চালকের কথায়, ফ্রেঞ্চকাট দাড়ির ওই যুবক সেলুনে নেমে চুল এবং দাড়ি কাটেন। সঞ্জয় জানিয়েছেন, তখনই তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু ভদ্র পোশাকের এক যুবক গল্প করতে করতে এমন ভাবে মিশে গিয়েছিলেন যে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এমনকী, সোনারপুরের ওই বয়স্কা মহিলাকে শাশুড়ি এবং তরুণীকে দেখিয়ে স্ত্রী হিসেবেও পরিচয়ও দিয়েছিলেন ওই যুবক।

সোনারপুরের কাজ মিটিয়ে ওই যুবক ফের নিউ মার্কেটের দিকে গাড়ি ছোটাতে বলেন। ট্যাক্সিচালক সঞ্জয়ের কথায়, বিকেল ৩টে নাগাদ নিউ মার্কেটে পৌঁছে পান কিনবে বলে নামেন ওই যুবক। তার পর থেকেই তিনি বেপাত্তা।

পুলিশের কাছে অভিযোগে সঞ্জয় জানান, ওই যুবক দীপক বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। এমনকী, বিভিন্ন জায়গায় নামার জন্য নিজের মোবাইল নম্বরটিও চালককে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ওই নম্বরে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পান সঞ্জয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারক ওই যুবকের খোঁজ শুরু হয়েছে।

taxi driver fake passenger
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy