Advertisement
E-Paper

দুর্ঘটনায় জখম ৩, উত্তেজনা

একটি দুর্ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দমদম থানা এলাকার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খালিসাকোটা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ রাস্তার গাড়ি থামিয়ে ‘তোলা’ তুলতে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ হয়। পরে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী ও কমিশনার নীরজকুমার সিংহ ঘটনাস্থলে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৩১

একটি দুর্ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দমদম থানা এলাকার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খালিসাকোটা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ রাস্তার গাড়ি থামিয়ে ‘তোলা’ তুলতে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ হয়। পরে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী ও কমিশনার নীরজকুমার সিংহ ঘটনাস্থলে যান।

পুলিশ জানিয়েছে, সওয়া এগারোটা নাগাদ একটি ট্রাক বালি ব্রিজ থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। দু’নম্বর ব্লকের কাছে হঠাৎই দু’জন গ্রিন পুলিশ ট্রাকটিকে দাঁড় করাতে রাস্তার মাঝখানে চলে আসেন। পাশেই দাঁড়িয়েছিল থানার পুলিশ ভ্যান। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হঠাৎ করে দু’জন পুলিশ ট্রাকের সামনে চলে আসায় ট্রাকটি আচমকা ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে। এর জেরে পিছনের একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা মারে। একটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা মারে গাড়িটিকে। বাইকের দু’জন আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এই ঘটনায় গাড়িচালক ও মোটরবাইকের দুই আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় জখম তিন ব্যক্তির মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরাই। ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের প্রতি ক্ষোভ বাড়তে থাকে। স্থানীয়েরা অভিযোগ তোলেন, এক্সপ্রেসওয়ের ট্রাফিক আইনের নানা নিয়ম দেখিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ‘তোলা’ তোলে পুলিশ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের জুড়েই এই জুলুম চলে বলে অভিযোগ। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে যতগুলি থানার অধীনে পড়ে, প্রতিটি থানাই কম-বেশি এই জুলুম করে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও পুলিশের উপরের মহলে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এক স্থানীয় বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বলেন, “শুধু দিনের বেলা নয় রাতের অন্ধকারেও পুলিশের এই জুলুম চলে। রাতে এক্সপ্রেসওয়ের বেশির ভাগ জায়গাতেই আলো নেই। রাতের অন্ধকারে যেখানে-সেখানে পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আমরা অবিলম্বে পুরো রাস্তায় আলোর দাবি করছি।”

পুলিশের জুলুম ও রাস্তায় আলো না থাকার প্রতিবাদে স্থানীয়েরা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এক্সপ্রেসওয়ের দুই দিকেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যানজট হয়ে যায়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, “পুলিশ ওই ট্রাকের কাগজ পরীক্ষার জন্য দাঁড় করিয়েছিল। তবে পুলিশের তোলা তোলার অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

accident belghoria expressway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy