নানা রং। দোলের নয়, ভোটে দেওয়াল লিখনের। ছবি: রাজীব বসু।
দোলের দিন শহর জুড়ে মোটরবাইকবাহিনীর উপরে নজর রাখবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দোলের প্রস্তুতি বৈঠকে থানার ওসি-সহ বাহিনীর অফিসারদের এমন নির্দেশই দিয়েছেন শীর্ষকর্তারা।
পুলিশ জানায়, দোলের দিন অনেক সময়েই অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে। মেলে শ্লীলতাহানির খবরও। সেই কথা মাথায় রেখেই লালবাজার সূত্রে খবর, বাইকবাহিনী আটকাতে শহরের অলিগলিতে নজরদারি চালাবে পুলিশের মোটরবাইক এবং সাইকেল বাহিনী। কোথাও আপত্তিকর কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন ওসি-রা।
বছর দুই আগে দোলে বিশরপাড়ায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামের বাড়িতে ঢুকে রং দেওয়ার ছুতোয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এক দল দুষ্কৃতী। প্রতিবাদ করায় খুুন হতে হয় অসীমবাবুকে। কলকাতায়ও এমন অনেক ঘটনাই ঘটে। “তবে সেগুলির বেশির ভাগই অভিযোগ হিসেবে নথিভুক্ত হয় না”, মন্তব্য এক পুলিশকর্তার। এ বার দোলের আগে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে পুলিশ বেশি সতর্ক। তাই লালবাজার ঠিক করেছে, দোল ও তার পরের দিন শহরের অলিগলিতেও মোটরবাইক নিয়ে দোল খেলতে দেওয়া যাবে না। নজর রাখা হবে মহিলাদের নিরাপত্তায়। পুলিশের একাংশের মতে, এই সময়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানি নিয়ে মারমারির ঘটনাও ঘটে। এ ব্যাপারে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি নিয়ে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের রিপোর্ট পেয়েছে লালবাজার। তা ধরেই সব ওসিদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
দোলের দিন শহর জুড়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন হবে। থাকবে বিশেষ টহলদারি ভ্যান। প্রায় ৫৮০টির মতো অতিরিক্ত পুলিশ পিকেট বসানো হবে শহরে। দোলের পরের দিন সোমবারও প্রায় একই রকম পুলিশ পিকেট থাকবে। ‘স্পর্শকাতর’ এলাকাগুলিতেই বসবে পুলিশ পিকেট। ওই দু’দিন অতিরিক্ত প্রায় ২৫টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়ি রাস্তায় থাকবে। দোলের দিন গঙ্গার ঘাট ছাড়াও প্রতিটি থানা এলাকার পুকুরগুলির উপরেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে লালবাজার থেকে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
পুলিশের একাংশের মতে, দোলের দিন মোটরবাইক চেপে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। রং মেখে থাকায় মুখও দেখা যায় না। সম্প্রতি বালিগঞ্জেও এমন ছিনতাই হয়েছে। এই ধরনের ঘটনাও পুলিশকে ভাবাচ্ছে। ছিনতাই আটকাতে গোয়েন্দা বিভাগকে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy