Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দমদমে যুবক খুনে পুলিশের জালে দুই

দমদম মধুগড়ে সিন্ডিকেটের গোলমালে সোমনাথ সাধুখাঁ নামে এক যুবকের খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ মারিক ও সাধন ঘোষকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে দমদম থেকেই তাদের ধরা হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এডিসি সুরেশ চাটভি বলেন, “এই নিয়ে ওই ঘটনায় মোট সাত জন গ্রেফতার হল।” বৃহস্পতিবার গৌরাঙ্গ ও সাধনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০০:২৩
Share: Save:

দমদম মধুগড়ে সিন্ডিকেটের গোলমালে সোমনাথ সাধুখাঁ নামে এক যুবকের খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ মারিক ও সাধন ঘোষকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে দমদম থেকেই তাদের ধরা হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এডিসি সুরেশ চাটভি বলেন, “এই নিয়ে ওই ঘটনায় মোট সাত জন গ্রেফতার হল।” বৃহস্পতিবার গৌরাঙ্গ ও সাধনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ জানিয়েছে, গৌরাঙ্গ ও সাধন ওই ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল। বুধবার মধুগড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ের কাছে একটি দোকানে বসে ছিল সাধন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। সাধনকে জেরা করে খোঁজ মেলে গৌরাঙ্গের। দমদমের ওই সিন্ডিকেট-সংঘর্ষের পরে মৃত সোমনাথের বাবা, সাধন ও গৌরাঙ্গকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনের গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে সোমনাথের ভাই গোপাল সাধুখাঁ বলেন, “আমরা অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নতুন করে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর পরই যে পুলিশের ফাঁড়ি করা হয়েছিল, তা উঠে গিয়েছে। তবে এ দিন এলাকায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রথম জীবনে চানাচুর বিক্রি করত গৌরাঙ্গ। পরে এলাকারই আর এক দাদা, সিপিএমের ছত্রছায়ার থাকা দীপক বিশ্বাসের হাত ধরে তার উত্থান ঘটে। দীপক জেলে যাওয়ার পর থেকেই গৌরাঙ্গ তৃণমূলে ভিড়ে যায়। তার পর থেকেই এলাকার প্রায় সমস্ত প্রোমোটিংয়ের বরাত পেত সে। এই ভাবে বছরখানেকের মধ্যেই প্রভূত সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে। অন্য দিকে, দমদম রোডের ধারে সাধনের খাবার হোটেল ও কয়েকটি দোকান ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাজনীতির সঙ্গে সেই অর্থে কোনওদিনই যুক্ত ছিল না সাধন। রাজ্যে তৃণমূলের প্রভাব বিস্তার হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সাধন ও গৌরাঙ্গ যুক্ত ছিল একই সিন্ডিকেটের সঙ্গে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি গৌরাঙ্গ ও সাধনের বিরোধী সিন্ডিকেট-গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনের গ্রেফতারের কথা জেনে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, ফের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধতে পারে। তবে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এডিসি সুরেশ চাটভি আশ্বাস দিয়েছেন, “প্রয়োজনে আরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নতুন করে এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dum dum muder arrested
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE