নিউ টাউন এলাকা থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার সকালে, নিউ টাউন থানার হাতিয়ারার একটি মাঠে দেহটি মেলে। মৃতের নাম মইরুদ্দিন সর্দার (৩৫)। দু’দিন আগেই কেষ্ট জায়সবাল নামে হাতিয়ারা এলাকারই এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় কাশীপুর থানা এলাকায়। দু’দিনের মধ্যে একই জায়গার দুই যুবকের খুনের ঘটনায় এ দিন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
গত মঙ্গলবার রাতে নিউ টাউন থানা এলাকার থাকদারিতে গুলি চলে। গুলিচালনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পলাতক। কিন্তু পরপর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় যথারীতি প্রশ্ন উঠেছে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মইরুদ্দিন একটি স্কুলবাসে খালাসির কাজ করতেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। ওই রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকালে হাতিয়ারার রাম মন্দিরের মাঠের পিছনে মইরুদ্দিনের গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পরে মইরুদ্দিনের বাড়ির লোকেরা এসে দেহটি শনাক্ত করেন। মইরুদ্দিনের বাবা রফিক সর্দার নিউ টাউন থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মইরুদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে মোবাইলে ফোন করে জানান, তাঁর কিছু টাকা পাওনা আছে, তিনি তা আনতে যাচ্ছেন। রাতে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু তার পরে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। মইরুদ্দিনের বাবা রফিক বলেন, “বেশি রাতে ছেলে বাড়ি না ফেরায় আমরা পাড়ায় খোঁজ শুরু করি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও খোঁজ করি। কিন্তু কোথাও খবর পাইনি। সকালে পুলিশ আমাদের ফোন করে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের কথা বলে। আমরা গিয়ে ওকে শনাক্ত করি।”
ঘটনাটি নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। মইরুদ্দিন কাদের সঙ্গে মেলামেশা করত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মইরুদ্দিন ও কেষ্ট জায়সবালের দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত চলছে। কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy