Advertisement
E-Paper

নিকাশি সংস্কারের কাজ শুরু

দক্ষিণ দমদম পুর-এলাকায় নিকাশি সংস্কারের কাজ শুরু হল। ৩ মার্চ প্রকল্পটির শিলান্যাস হয়েছে। পুরসভার দাবি, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দমদম পার্ক, পাতিপুকুর, দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় জল জমার সমস্যা কমবে।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০২:০১
আশা, এ বার ছবি বদলাবে।—ফাইল চিত্র।

আশা, এ বার ছবি বদলাবে।—ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ দমদম পুর-এলাকায় নিকাশি সংস্কারের কাজ শুরু হল। ৩ মার্চ প্রকল্পটির শিলান্যাস হয়েছে। পুরসভার দাবি, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দমদম পার্ক, পাতিপুকুর, দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় জল জমার সমস্যা কমবে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে বৃষ্টির জল জমতে না দিয়ে নালা দিয়ে দ্রুত বাগজোলা ও কেষ্টপুর খালে ফেলা হবে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩.৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৫৪০ জন মানুষ এতে উপকৃত হবেন। মোট ৫৬.৪২ কিলোমিটার নিকাশি নালা তৈরি হবে। এতে খরচ হবে ৬৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি জেএনএনইউআরএম-এর অন্তর্গত। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার মোট খরচের ৩৫ শতাংশ দেবে, রাজ্য সরকার দেবে ৬০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ দেবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।

সংস্কার শুরু হবে দমদম পার্ক এলাকা থেকে। শুধু নিকাশি নালাই নয়, তৈরি হবে আধুনিক পাম্পিং স্টেশনও। নিকাশি নালার জল পাম্পের মাধ্যমে বাগজোলা খাল ও কেষ্টপুর খালে ফেলা হবে। পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে খালের পাশেই। দমদম পার্কের যে জায়গায় পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে সেই জায়গাও ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। তবে পুরসভার এক আধিকারিক জানান, আর কয়েক মাস পরেই বর্ষা। এর মধ্যে পুরো এলাকার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।

আধুনিক পাম্পিং স্টেশন ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা থাকলে যে জল জমে না তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দমদম পার্কের ঠিক পাশের এলাকা বাঙুর। বাঙুরে পাম্প বসানোর পরে গত কয়েক বছরে ভারী বৃষ্টির পরেও জল জমেনি। জল জমলেও সঙ্গে সঙ্গে তা নেমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাঙুরের বাসিন্দারা দৈনন্দিন কাজে প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন করায় নর্দমায় প্লাস্টিক জমে জল আটকে যায়নি। সব মিলিয়ে বাঙুরের মানুষকে আর ফি বছর জল জমার সমস্যায় ভুগতে হয় না। কিন্তু এখনও প্রতি বছর দমদম পার্ক, পাতিপুকুর, শ্যামনগর, মধুগড়, ছাতাকল, জ’পুর, কালিন্দী, চাষিপাড়া অঞ্চলে জল জমে। পাতিপুকুরে আন্ডারপাস নতুন করে তৈরির পরেও জল জমার কারণেই প্রতি বছর বর্ষার কয়েক দিন বন্ধ রাখতে হয়।

কাজ শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। দমদম পার্কের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রতি বছর এখানে জল জমে। এত দিন শুধুই আশ্বাস পেতাম। এ বার সত্যিই কাজ শুরু হল।’’ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বৃষ্টির জল কেষ্টপুর ও বাগজোলা খালে ফেলা হলে এই অতিরিক্ত জল খাল দু’টি ধারণ করতে পারবে তো? কারণ, খাল দু’টি কয়েকটি জায়গায় মজে গিয়েছে। যদিও পুরসভা ও সরকারি সূত্রের দাবি, এই দু’টি খালেরও সংস্কার শুরু হয়েছে। দ্রুত গতিতে সে কাজ হচ্ছে।

swearage aryabhatta khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy