শুরু হয়েছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। ছবি:শুভাশিস ভট্টাচার্য।
সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বুলেভার্ডের সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। এখন চারটি বুলেভার্ডের সৌন্দর্যায়ন হচ্ছে। পরে বাকি তিনটি বুলেভার্ডও সাজানো হবে। এমনই জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের সামনের বুলেভার্ডটির সৌন্দর্যায়ন করেছেন রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ।
এখন চলছে এর পর থেকে চারটি বুলেভার্ড সৌন্দর্যায়ন। কাজ করছে পুরসভার উদ্যান বিভাগ।
টাকার সংস্থান হলে পরবর্তী আরও তিনটির কাজও হবে বলে জানাচ্ছে দফতর। পাশাপাশি লেক কালীবাড়ির সামনের বুলেভার্ডও সাজিয়ে তুলেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বুলেভার্ড সৌন্দর্যায়ন আগেই শুরু হয়েছিল। মূলত পুরসভাই করেছে এই সৌন্দর্যায়ন। তবে সাতটি বুলেভার্ডের কাজ বাকি ছিল। এখন ৮৬ এবং ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের উপরে গোলপার্ক পর্যন্ত অংশের
চারটি বুলেভার্ড সৌন্দর্যায়ন চলছে। পুরসভার উদ্যান দফতরের এক আধিকারিক জানান, সেখানে উঁচু গ্রিলের ফেন্সিং হবে। ভিতরের আগাছা পরিষ্কার করে মাটি সমান করা হবে। সেই জায়গায় বিভিন্ন বাহারি গাছ এবং ফুলগাছ লাগানো হবে। প্রতিটি বুলেভার্ড সাজাতে লাগবে ১১-১৭ লক্ষ টাকা। দু’মাসের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে বলে উদ্যান দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন।
দক্ষিণ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেঘনাদ সাহা সরণি, যা সাদার্ন অ্যাভিনিউ নামেই বেশি পরিচিত। দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। রাস্তার মাঝ বরাবর অনেকখানি জায়গা জুড়ে তৈরি বুলেভার্ডের গাছগুলি এক সময়ে ছিল শহরের ফুসফুস। ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় জানান, রক্ষণাবেক্ষণহীন ভাবে পড়ে থাকা বুলেভার্ডগুলির ফেন্সিং প্রায় ভেঙে গিয়েছিল। অযত্নে জংলা গাছের ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছিল। এমনকী আবর্জনাও জমে থাকত বুলেভার্ডগুলিতে।
ফলে ওই সব জায়গা মশার আঁতুড় হয়ে উঠেছিল।
৮৭ নম্বর ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন বুলেভার্ডটিতে কয়েক বছর আগে মেঘনাদ সাহার নামাঙ্কিত একটি পার্কও করেছিল পুরসভা। সেটিকেই এ বার শিশু উদ্যানে বদলে দিতে কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মফুলের আকারের একটি ফোয়ারা আগেই ছিল সেখানে। তবে সেটি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে অনেক দিন। ফোয়ারা মেরামতির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। পার্কে ছোটদের জন্য দোলনা, স্লিপ, ঢেঁকি বসবে। নতুন করে বাগান তৈরি হবে। বসার ব্যবস্থাও থাকবে সেখানে।
স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তনিমা চট্টোপাধ্যায় জানান, এর ঠিক সামনে দু’টি স্কুল রয়েছে। তাই এই বুলেভার্ড মধ্যস্থ পার্কটিকে শিশু উদ্যানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। দু’টি বুলেভার্ডের মাঝে প্রবেশ পথ এমন ভাবে রয়েছে যে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই বলেই দাবি তনিমাদেবীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy