মধ্যরাতে ই এম বাইপাস ধরে ছুটছিল লাক্সারি বাসটি। ভিতরে বরযাত্রীরা বিয়েবাড়ির ভোজ খেয়ে ফিরছিলেন। আচমকা প্রচণ্ড শব্দ করে বাসটি উল্টে যায়। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, বাসটি রাস্তার এক পাশে উল্টে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন দু’জন। বাসের ভিতরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বেশ কয়েক জন মহিলা ও শিশু।
শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে অজয়নগর মোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসের সামনে বসে থাকা এক যুবকের পেটে একটি লোহার রড ঢুকে গিয়েছিল। দু’জনের মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিল। বাচ্চারা পড়ে ছিল সিটের তলায় বা পাশে। তাঁরাই খবর দেন সার্ভে পার্ক ও পূর্ব যাদবপুর থানায়। পুলিশ এসে রাতেই আহতদের নিয়ে যায় রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান, এম আর বাঙুর এবং এসএসকেএমে। বরযাত্রীদের অভিযোগ, বাসচালক প্রকৃতিস্থ ছিলেন না। তীব্র গতিতে বাস চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত চালকের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অজয়নগর মোড় থেকে ডান দিকে ঘোরানোর সময়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কালীপদ বৈদ্য ও উত্পল দাস নামে দুই ব্যক্তির। তাঁদের বয়স পঁয়ত্রিশের কাছাকাছি। আরও সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, কালীপদবাবু বাঁশদ্রোণী থানার অরবিন্দনগরের বাসিন্দা। তিনি পাত্রের দাদা। জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী মানা বৈদ্যও। তাঁদের একটি নয় বছরের ছেলে এবং সাত বছরের মেয়ে আছে। জখম হয়েছেন কালীপদবাবুর বাবা গণেশ বৈদ্যও। কালীপদবাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু উত্পলবাবু ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর একটি ন’বছরের ছেলে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার কালীপদবাবুর মেজো ভাই শ্যামাপদর সঙ্গে বারাসতের নিবেদিতাপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া রায়ের বিয়ে ছিল। পাত্র-পাত্রী দু’জনেই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। রানিয়া, বোড়াল ও বাঁশদ্রোণী থেকে প্রায় ৬৫ জন বরযাত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। বৈদ্য পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজেশ পুরকায়েত শনিবার বলেন, “আমরা আস্তে বাস চালাতে বললেও চালক শোনেনি। তাঁর অসতর্কতার জন্যই এই বিপদ হল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy