বাইপাসে দুর্ঘটনার পরে সেই বাস। বুধবার।—নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন আগেই দু’টি বাসের রেষারেষির জেরে মায়ের কোলে মৃত্যু হয়েছিল দু’মাসের এক শিশুর। পার্ক সার্কাসের চার নম্বর সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কংক্রিটের রেলিংয়ের উপর কাত হয়ে পড়ে গিয়েছিল নিউটাউন-পর্ণশ্রী রুটের ভূতল পরিবহণ নিগমের ওই বাসটি। সোমবারের এই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার ফের একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল শহরবাসী। এক দিকে, ই এম বাইপাসের রুবি মোড়ে দু’টি বাসের সংঘর্ষে আহত হলেন ৩৬ জন যাত্রী। অন্য দিকে, বি বা দী বাগে বাস ফুটপাথে উঠে পড়ায় ভেঙে পড়ে একটি বাতিস্তম্ভ। দু’ক্ষেত্রেই ফের প্রশ্ন উঠেছে চালকের অসতর্কতা ও যাত্রী নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ রুবি মোড়ে এস-৪ রুটের একটি সিএসটিসি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সরকারি বাসকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। পুলিশ সূত্রে খবর, এস-৪ রুটের বাসটি সল্টলেক থেকে পর্ণশ্রী যাচ্ছিল। সেটিতে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সময়ই রুবি মোড়ে দাড়িয়েছিল মধ্যমগ্রাম থেকে টালিগঞ্জগামী সিটিসি বাসটি। তাতে যাত্রী ছিলেন ছ’জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এস-৪ রুটের বাসটি আচমকাই দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় দু’টি বাসের যাত্রী মিলিয়ে মোট ৩৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আহতদের প্রত্যেকেরই নাক, কান, মুখে সেলাই করতে হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
সিএসটিসি বাসটির এক যাত্রী জয়দেব দাস বলেন, “আমি করুণাময়ী থেকে বাসে উঠি। বাসটি প্রথম থেকেই খুব জোরে চালাচ্ছিল। বারবার সতর্ক করা হলেও চালক তা শোনেননি।” বাস দু’টি আটক হয়েছে। আর এক যাত্রী বলেন, “আচমকাই আমাদের বাসটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে ধাক্কা মারল। বাসে বসেছিলাম। সামনের সিটের লোহার রডে লেগে আমার মুখ ফেটে যায়।”
এ দিনই বেলা ১২টা নাগাদ বিবাদীবাগে একটি সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে পড়ে একটি বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারে। ভেঙে পড়ে বাতিস্তম্ভটি। পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রী নিয়ে বাসটি শিয়ালদহ থেকে হাওড়া ময়দান যাচ্ছিল। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy