খাল ভরেছে আবর্জনায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারতের ডাক দিয়েছেন। ঝাঁটা হাতে নিজে রাস্তা সাফ করছেন। এতে সামিল হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, সলমন খান থেকে শুরু করে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি। কিন্তু সে ডাক যে সব জায়গায় পৌঁছয়নি তা মালুম হয় কেষ্টপুরের কাছে বাগজোলা খালের চেহারা দেখলে।
বাগজোলা খালের কেষ্টপুর এলাকায় খাল আবর্জনার স্তূপে ভরে উঠেছে। প্লাস্টিক-সহ নানা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে খালে। সপ্তাহ দুই আগে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় কেষ্টপুরের বাগজোলা খালে তিন মোটরবাইক আরোহী পড়ে যান। খাল থেকে দু’জন আরোহী উঠতে পারলেও এক যুবককে উদ্ধার করা যায়নি। তাঁর দেহ উদ্ধার করতে নামে ডুবুরি। কিন্তু দেখা যায় খালের জলে এত আবর্জনা, নোংরা ও পাঁক জমে রয়েছে যে কোনও কিছু খোঁজাই কার্যত অসম্ভব। শুরু হয় নোংরা পরিষ্কার। শেষে তিন দিন পরে কেষ্টপুর থেকে একটু দূরে ভেসে ওঠে ওই যুবকের দেহ। প্রশ্ন ওঠে, কেন সেচ দফতর বা স্থানীয় পুরসভা খাল পরিষ্কার করেনি? প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়েও।
বছর সাতেক আগে যখন কেষ্টপুর খালে বাস উল্টে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই সময়ও কেষ্টপুরের খালে ছিল আবর্জনার স্তূপ। তখনও বাসযাত্রীদের উদ্ধার করতে দেরি হয়। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও কোনও শিক্ষা নেয়নি সেচ দফতর ও স্থানীয় পুরসভার।
মোটরবাইক দুর্ঘটনার পরে খাল পরিষ্কার করেছিল সেচ দফতর ও পুরসভা। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই ফের জল আবর্জনায় ভরে উঠেছে। অভিযোগ, খাল সংলগ্ন বাজার এবং কয়েকটি অনুষ্ঠানবাড়ি থেকেই বেশি আবর্জনা ওই খালে পড়ছে।
সেচ দফতরে বাগজোলা খালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার যিশু দত্ত বলেন, ‘‘আমরা ২০১২-এ খালের পাঁক তুলেছিলাম। এ ছাড়াও মাঝেমধ্যেই খাল পরিষ্কার করা হয়। আমরা পুর-প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছি। কিন্তু সব থেকে দরকার মানুষের সচেতনতা বাড়ানো। খালের জলে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা কঠিন। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস চালাচ্ছি।’’
অন্য দিকে, রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার বাস্তুকার মনোদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই খাল সংলগ্ন বাজারে আমরা বড় বড় ঢাকা ডাস্টবিন রাখার ব্যবস্থা করছি। একই ধরনের ডাস্টবিন রাখা হচ্ছে ভিআইপি রোডের ধারেও। তার জন্য টেন্ডার ডাকার কাজও হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুতই এগুলি রাখা হবে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর কাজও চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy