গার্ডেনরিচে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউই জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, জহুরা খাতুন নামে ওই বৃদ্ধার পরিবারের কয়েক জন সদস্য তদন্তে মোটেই সহযোগিতা করছেন না। এমনকী, বৃ্দ্ধার এক ছেলেকে বারবার ডাকা সত্ত্বেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে দেখাই করেননি তিনি। পুলিশের বক্তব্য, শনিবার রাতে ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বৃ্দ্ধার তিন ছেলেকেই।
বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচের রামনগর লেনের এক আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় জহুরা খাতুনের ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধার শরীরে ৩০টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পাশেই গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিল তাঁর নাতনি ফারিয়া। কিশোরী ফারিয়াই ওই খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। একবালপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আততায়ী একাধিক ছিল এবং তারা ওই বৃদ্ধার পরিচিত। ফারিয়া তাদের চিনে ফেলায় তাকেও হত্যার চেষ্টা করে তারা। এ দিন এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “আমাদের অনুমান, ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বললে বৃদ্ধা খুনের কিনারা করা সম্ভব হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিন দিন পরে হয়তো ফারিয়া কথা বলার পরিস্থিতিতে আসবে।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আততায়ীরা তালা খুলেই ওই ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকেছিল। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে একটি তালা ও চাবি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটের রান্নাঘর থেকেও একটি চাবি উদ্ধার হয়। পুলিশের বক্তব্য, বৃদ্ধার এক ছেলে রোজের মতো বুধবার রাতেও শোয়ার আগে বাইরে থেকে ওই ফ্ল্যাটের তালা বন্ধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের কাছেও একটি চাবি থাকার কথা। কিন্তু তাঁরা যে চাবি পুলিশকে জমা দিয়েছেন, তা দিয়ে ওই তালা খোলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এ দিন থানায় ডাকা হয়েছে বৃ্দ্ধার তিন ছেলে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।