বেলগাছিয়ায় ম্যাটাডরের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর জেরে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় শনিবার পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনার জেরে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন। এই ঘটনায় উল্টোডাঙা থানার অতিরিক্ত ওসি-সহ ১৪ জন পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্যে ফেলারাম মণ্ডল নামে এক পুলিশকর্মীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে এনআরএসে এবং পরে একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের খুনের চেষ্টা, কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে স্থানীয় পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন শিয়ালদহ আদালতে বিচারক ধৃতদের ৯ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাহেব আলি (২৫) নামে বেলগাছিয়ার এক যুবক সাইকেল চালিয়ে পাতিপুকুর আন্ডারপাসের দিক থেকে মিল্ক কলোনির দিকে যাচ্ছিলেন। মিল্ক কলোনির মোড়ের কাছে একটি ম্যাটাডর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। আর জি করে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ওই এলাকায় যশোহর রোড অবরোধ করে উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা। লালবাজার সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জনতা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। পুলিশের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র্যাফ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরের একটি কিয়স্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অবরোধকারীরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অবরোধ করেন। কিন্তু লালবাজারের পুলিশ কর্তাদের দাবি, যশোহর রোডে ব্যারিকেড তৈরি করে নিয়মিত গাড়ি তল্লাশি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায়ও তা কাজ করা হয়। তাই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সত্য নয়। তবে ট্রাফিক কর্তাদের একাংশ জানান, বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy