উড়ালপুলে ফাটল থাকায় গাড়ি চলে না। তাই ওখানেই বহুতল তৈরির মাটি, ইট, বালি জমা করছে নির্মাণকারী সংস্থা। অন্য দিকে, জঞ্জাল ফেলার জায়গার অভাব। অগত্যা উড়ালপুলের রাস্তাই এখন ভ্যাট। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের যশোহর রোড সংযোগকারী উড়ালপুলের এখন এটা চেনা ছবি।
আট মাস আগে বড়সড় ফাটল দেখা দেওয়ায় উড়ালপুলে গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফাটল মেরামতি তো দূর, উল্টে দীর্ঘ দিন গাড়ি না চলায় নির্মাণসামগ্রী, জঞ্জালে ঢাকছে উড়ালপুল। এক দিকে যখন পূর্ত দফতরের উদ্যোগে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ভাঙা অংশের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে, সেখানেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে এই উড়ালপুলের হাল ক্রমশই খারাপ হচ্ছে।
গত ১০ জুন যশোহর রোড থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দিকে আসার উড়ালপুলের একাংশে ফাটল দেখা যায়। উড়ালপুলের যে অংশটি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মিশেছে, তার কাছে ৮ মিটার চওড়া একটি জায়গায় কংক্রিটের চাঙড় উঠে গিয়ে লোহার রডের কাঠামো বেরিয়ে গিয়েছিল। প্রায় এক মিটার ওই ফাটলের আশপাশেও চিড় ধরে। ওই ফাটলের আশপাশ অনেকটা বসে যায়।
আট মাস পরে মেরামতির অভাবে আরও বেহাল হয়েছে সেই ফাটলের চেহারা। লোহার শিক আরও বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে এসেছে। ওই ফাটলের কাছেই মাটির স্তূপ। একটু দূরে বালি ফেলে রাখা। স্থানীয়েরা জানালেন, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু’দিকে প্রচুর আবাসন তৈরি হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থার বালি-মাটি মজুত করা হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তায়। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে মাটির স্তূপ জমে থাকায় উড়ালপুলের ক্ষতি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ফাটল দেখা দিচ্ছে নতুন করে। অন্য দিকে, যশোহর রোডের দিক থেকে উড়ালপুলে ওঠার পথেই জমে জঞ্জালের স্তূপ। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওখানে জঞ্জাল ফেলাই যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল চক্রবর্তী জানান, উড়ালপুলের দেখভালের দায়িত্ব জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের।
উড়ালপুলের উপরে যে এ ভাবে নির্মাণসামগ্রী ও জঞ্জালের স্তূপ জমছে, তা তাঁরা জানতেন না বলে দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তাঁদের তরফে জানানো হয়, ফাটল মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু হবে। তার আগেই সাফ করা হবে জঞ্জাল ও নির্মাণসামগ্রী। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা রামশঙ্কর কুশওহা বলেন, “ফাটল মেরামতিতে প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদনের জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলেই টেন্ডার ডাকার কাজ হবে। তার পরেই মেরামতি শুরু হবে।” রামশঙ্করবাবু জানিয়েছেন, শুধু ওই ফাটল মেরামতিই নয়, পুরো উড়ালপুলটিই পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy